আগামী ১ আগস্ট ২০২২ থেকে পশ্চিমবঙ্গে রেশন তোলার ক্ষেত্রে চালু করা হচ্ছে নতুন নিয়ম। এতদিন পর্যন্ত রেশন সামগ্রী তোলার জন্য হয় গ্রাহকদের আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হতো, না হলে মোবাইলে পাঠানো ওটিপি এর মাধ্যমে রেশন তুলতে পারতেন গ্রাহকরা। এই পদ্ধতি নিয়ে রেশন ডিলারদের সঙ্গে সরকারি আধিকারিকদের মতবিরোধ লেগেই রয়েছে। তারি মধ্যে এবার ১ আগস্ট ২০২২ থেকে নতুন নিয়ম চালু করা হচ্ছে রেশন তোলার ক্ষেত্রে। এর আগে পর্যন্ত মহারাষ্ট্র এবং বিহারে এই প্রক্রিয়া চালু থাকলেও এবারে পশ্চিমবঙ্গে এই প্রক্রিয়া চালু হতে চলেছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই নতুন পদ্ধতির ব্যাপারে।
এবার থেকে রেশন নিতে গেলে শুধুমাত্র গ্রাহকদের আঙুলের ছাপ দিলেই হবে না। আঙুলের ছাপের পাশাপাশি অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অফ সেল, বা সংক্ষেপে পিওএস মেশিনের মাধ্যমে গ্রাহকের আঙুলের ছবি নেওয়া হবে। মূলত আরো নির্ভুল এবং স্বচ্ছ ভাবে রেশন বন্টন প্রক্রিয়া পরিচালনা করার জন্য, ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা ইউআইডিএআই অর্থাৎ আধার কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে এই নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে পর্যন্ত এই মেশিনের মাধ্যমে শুধুমাত্র গ্রাহকদের হাতের বায়োমেট্রিক্স স্ক্যান করা হতো। এবারে এই মেশিনের স্ক্যানের মাধ্যমে গ্রাহকদের আঙুলের ছাপের ছবি ধরে রাখা হবে। তবে আঙ্গুলের ছবি ধরে রাখার জন্য এই মেশিনের সফটওয়্যার আপডেট করতে হবে এবং তা করতে হবে মেশিনটিকে অবিকল ভাবে চালু রেখেই। এই প্রক্রিয়াটি বেশ দীর্ঘ একটি প্রক্রিয়া হতে পারে বলে মনে পড়ছে সংশ্লিষ্ট মহল। তবে এই সফটওয়্যার আপডেট নিয়ে এর আগেও সমস্যার মুখে পড়েছেন রেশন ডিলাররা। এদিকে আধার কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে চালু করা নতুন এই নিয়ম অনুসারে, রেশন বন্টন পদ্ধতি চালু রেখেই নতুন এই সফটওয়্যার আপডেট করতে হবে। একেবারে আপডেট না হলে বারংবার চেষ্টা করতে হবে।
কিন্তু এই পদ্ধতিতে রেশন নানা সময় নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। কখনো রেশন দেওয়ার গতি ধীরে হয়ে যাচ্ছে তো আবার কখনো গ্রাহকদের রোষের মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের। আবার কখনো হাতের ছাপ না মেলার কারণে, রেশন দেওয়ার পদ্ধতি বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এর ফলে বহু মানুষ নিজের প্রাপ্য রেশন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মাঝেমধ্যেই। এই সমস্যা নিয়ে অবশ্য খাদ্য দপ্তর সম্পূর্ণ নিরুপায়। তারা বলছেন, আধার কর্তৃপক্ষের কথা মত এই প্রক্রিয়া সারা ভারতে চালু করতেই হবে। তাই এই পদ্ধতিতে রেশন দিতে না পারলে পশ্চিমবঙ্গ খাদ্য দপ্তরকে জরিমানার মুখে পড়তে হতে পারে। তাই অগত্যা এই নিয়ম চালু করার জন্য বদ্ধপরিকর পশ্চিমবঙ্গ খাদ্য দপ্তর।