শ্রেয়া চ্যাটার্জি – ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক হাতি বাজি ভর্তি এক আনারস খেয়ে ফেলেছে। খাওয়ার সাথে সাথেই বাজি গুলো তার মুখে একটার পর একটা ফাটতে শুরু করে। রক্তাক্ত হয়ে যায় গোটা মুখ। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে এই অবলা প্রাণীটি। পেটে সন্তান নিয়ে প্রাণীটি হন্যে হয়ে ঘুরছে, একটু খাবারের আশায়, সে কারুর ক্ষতি করেনি, কিন্তু এটা কি হল? কেন প্রাণীটির এমন কষ্টকর মৃত্যু হল? ওই রক্তাক্ত মুখ নিয়ে ছুটে ছুটে মাঝনদীতে চুপচাপ দাঁড়িয়ে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করে।
ঘটনাটি ঘটেছে কেরলের সাইলেন্ট ভ্যালি ন্যাশনাল পার্কে, ১৫ বছরের একটি অন্তঃসত্ত্বা হাতির মাল্লাপুরাম এর একটি গ্রামের কাছে খাবারের সন্ধানে আসে। হাতিটি তো কারোর কোন ক্ষতি করেনি। তবে কেন এমন নির্মম পরিণতি হলো হাতির? মুখটা ক্ষতবিক্ষত হওয়ার পরেও সন্তানের জন্য সে কিছু খেতে চেয়েছিল, কিন্তু অমন রক্তাক্ত মুখ নিয়ে সে কিছুই খেতে পারেনি।
অবশেষে সে হয়তো একটু শান্তি পাবে বলে, ঠান্ডা জলে তার ব্যথা জুড়াবে বলে ভেল্লিয়াড় নদীতে চুপ করে দাঁড়িয়ে ছিল। তবে সবচেয়ে দুঃখের কথা হাতিটির নিথর দেহ যখন পোস্টমর্টেমের জন্য চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন চিকিৎসক জানায় হাতিটি একা নয়, সে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তার ভেতরে বেড়ে উঠছিল আর একটি প্রাণ। ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়ার সাথে সাথেই তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে। পশুপ্রেমী মানুষজন রাগে, ঘেন্নায় ফেটে পড়ছেন। তাদের একটাই প্রশ্ন কারা এমন অমানবিক কাজ করতে পারে? এ প্রশ্নের উত্তর কারুর জানা নেই। তবে ঘটনাটি যে ভীষণ কষ্টদায়ক।