নয়াদিল্লি: সম্প্রতি রিলায়েন্স (Reliance) পাঞ্জাব (Punjab) এবং হরিয়ানায় (Hariana) জমি কেনার কথা অস্বীকার করেছে। তার জেরে বিগত কয়েক দিনে দুই রাজ্যে জায়গায় জায়গায় রিলায়েন্সের সম্পত্তি তছনছ করার অভিযোগ সামনে এসেছে। কেবলমাত্র পাঞ্জাবেই রিলায়েন্স জিয়ো-র ১৫০০-টির বেশি টেলিকম টাওয়ারে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয় রিলায়েন্সেলের বিভিন্ন দফতরে। কেটে দেওয়া হয় কেবল সংযোগও।
এমনকি জেনারেটর চুরির অভিযোগও সামনে আসে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মুকেশ আম্বানি এবং আদানির কুশপুতুলও পোড়ানো হয় একাধিক জায়গায়। এ নিয়ে সোমবার পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রিলায়েন্স কর্তৃপক্ষ।
রিলায়েন্সের সঙ্গে বিতর্কিত কৃষি আইনের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই।চুক্তিভিত্তিক কৃষিকাজে তাদের কোনও আগ্রহও নেই। কৃষক আন্দোলনের আঁচ গায়ে পড়তেই বিতর্কিত আইনের সঙ্গে যোগসূত্র থাকার অভিযোগ ঝেড়ে ফেলল রিলায়েন্স।
একটি বিবৃতিতে সোমবার সংস্থার তরফে বলা হয়ছে, ‘এই ধরনের হিংসাত্মক ঘটনায় আনমাদের হাজার হাজার কর্মীর জীবন বিপন্ন। সংস্থার যোগাযোগ পরিকাঠামো অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু রিলায়েন্স রিটেল লিমিটেড, রিলাযেন্স জিয়ো ইনফিকোম অথবা রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড অতীতে কখনও কর্পোরেট বা চুক্তিভিত্তিক কৃষিকাজে হাত দেয়নি। আর এই ব্যবসায় ঢোকার কোনও ইচ্ছেও নেই। পঞ্জাব, হরিয়ানা বা দেশের অন্য কোথাও চাষের জমিও কেনেনি রিলায়েন্স এবং তাদের ভর্তুকিপ্রাপ্ত কোনও সংস্থা। তেমন কোনও পরিকল্পনাও নেই’।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে রাজধানীর উপকণ্ঠে গত একমাসেরও বেশি সময় ধরে যে আন্দোলন চলছে,তাতে মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স এবং আদানি গোষ্ঠীর ওপরও র রাগ গিয়ে পড়েছে কৃষকদের। তাদের অভিযোগ, কৃষিকাজের বাণিজ্যিকীকরণ করে আদতে আম্বানি-আদানিদের সুবিধা করে দিচ্ছে কেন্দ্র।