বড় ঝুঁকি নিচ্ছে মুকেশ আম্বানি! লাভ বাড়াতে এবার এই ব্যবসাতেও নামছে JIO
ভারতের বর্ষীয়ান ব্যবসায়ী মুকেশ আম্বানির কোম্পানি জিও ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস পার্সোনাল লোন ব্যবসায় প্রবেশ করেছে। জিও ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস জানিয়েছে যে তারা মাইজিও অ্যাপে ব্যক্তিগত ঋণ সুবিধা চালু করেছে এবং ৩০০ টি অফলাইন স্টোরে ভোক্তা ঋণ প্রসারিত করার ঘোষণা দিয়েছে। মাইজিও রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের টেলিকম ব্যবসার একটি সুপার অ্যাপ। এটি বিল পেমেন্ট এবং বিনোদনের মতো সুবিধা প্রদান করে। মাই জিও অ্যাপের মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২৫.০২ কোটি। মজার বিষয় হল, পেটিএমের মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২৭.৯ মিলিয়ন এবং ফোনপে-র সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩৯ মিলিয়ন।
জিও ফাইন্যান্সিয়াল স্ব-নিযুক্ত ব্যক্তিদের ঋণ দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েও কাজ করছে। পাশাপাশি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও ব্যক্তিগত ঋণ দেওয়ার পরিকল্পনাও চলছে। জিও ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস অটো এবং হোম লোনের পাশাপাশি শেয়ার বন্ধক রেখে তহবিল সরবরাহের পরিকল্পনা নিয়েও কাজ করছে। জিও ফাইন্যান্সিয়াল বেশ কিছুদিন ধরে মার্চেন্ট পেমেন্টের দিকে অনেক মনোনিবেশ করছে। সংস্থাটি সাউন্ড বক্স বা স্পিকার নিয়েও কাজ করছে যা লেনদেনটি নিশ্চিত করার জন্য অবহিত করে। পেটিএম এবং ফোনপে এই ব্যবসায় দেশের নেতৃত্বের অবস্থানে রয়েছে।
রিলায়েন্সের আর্থিক পরিষেবা খাতের সংস্থা জিও পেমেন্টস ব্যাঙ্ক সেভিংস অ্যাকাউন্ট এবং বিল পরিশোধের সুবিধা পুনরায় চালু করেছে। আশা করা হচ্ছে যে জিও পেমেন্টস ব্যাঙ্ক শীঘ্রই একটি ডেবিট কার্ড চালু করতে পারে। জিও ফাইন্যান্সিয়াল লাইফ, সাধারণ এবং স্বাস্থ্য বীমা সংস্থা সহ ২৪ টি বীমা সংস্থার সাথে চুক্তি করেছে। সংস্থাটি বীমা ব্রোকিং ব্যবসায়ও বড় বাজি ধরছে। এই ব্যবসায় জিও ফাইন্যান্সিয়াল পলিসি বাজারের মতো জায়ান্টদের সাথে প্রতিযোগিতা করে। জিও ফাইন্যান্সিয়াল সাধারণ বীমা লাইসেন্সের জন্যও আবেদন করেছে। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জিওর সব ধরনের সুবিধা ডিজিটাল ছাদের নিচে আসবে, যা ইউনিফাইড অ্যাপ হিসেবে তৈরি করা হচ্ছে।