অত্যাধুনিক জিও গ্লাসে চোখের সামনে জীবন্ত হয়ে উঠবে ভার্চুয়াল যোগাযোগ, কিভাবে জানুন?
জিও গ্লাসের মাধ্যমে জীবন্ত হয়ে উঠবে ভার্চুয়াল যোগাযোগ।
একদিকে লকডাউনে বন্দি থাকতে থাকতে হাঁপিয়ে উঠছে জীবন। অন্যদিকে, সামাজিক দূরত্ব বিধি রাশ টেনেছে মেলামেশায়। এমন সময়ে ভরসা হয়ে উঠেছে হাতের মুঠোফোনটি। অডিও কলিং, ভিডিও চ্যাট বা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেই চলছে দেখাসাক্ষাৎ। আর এই সিস্টেমে থ্রি-ডি টেকনোলজি যোগ করে ভার্চুয়াল জগতে বিপ্লব এনেছে জিও। জিও গ্লাসের মাধ্যমে জীবন্ত হয়ে উঠবে ভার্চুয়াল যোগাযোগ।
এই জিও গ্লাসের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো হলোগ্রাফিক ভিডিও কলিং। অর্থাৎ এই গ্লাসের মাধ্যমে ভিডিও কলিং এবার থ্রি ডায়মেনশনাল হয়ে উঠবে। কথা বলার সময় মনে হবে ফোনের সে প্রান্তের ব্যক্তি আপনার সামনেই দাঁড়িয়ে রয়েছে। একইসঙ্গে এতে টু-ডি ভিডিও কলিংয়ের সুবিধাও থাকছে। থ্রি-ডি সিনেমাতে যেমন মনে হয় সিনেমার চরিত্রেরা আশেপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে এক্ষেত্রেও ঠিক তেমনটাই মনে হবে। টু-ডি কনটেন্টকে থ্রি-ডিতে রূপান্তরিত করার এই পদ্ধতিকে হলোগ্রাফিক ভিডিও কলিং বলে। একদিকে ভিডিও কনফারেন্সও, অন্যদিকে ভার্চুয়াল রিয়ালিটিতে পৌঁছনো – এই দুইয়ের মিশেলকেই তথ্যপ্রযুক্তির ভাষায় ‘মিক্সড রিয়ালিটি’ বলা হয়।
লকডাউনের জেরে যখন বাড়িতে বসেই অনলাইনে পড়াশোনা চালাতে বাধ্য হচ্ছেন ছাত্রছাত্রীরা তখন জিও গ্লাস তাদের বিশেষ ভাবে সাহায্য করতে পারে। শুধু থিওরি ক্লাস নয়, প্র্যাকটিকাল ক্লাসেও ছাত্রছাত্রীদের সাহায্য করবে এই জিও গ্লাস। হাই-ডেফিনিশন ৪কে স্ক্রিন থাকায় জিও গ্লাসের মাধ্যমে মনে হবে সবকিছুই যেন চোখের সামনে ঘটছে। অধিকাংশ তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা এই হলোগ্রাফিক কনটেন্টের মাধ্যমে ভিডিও কনফারেন্স করলেও এবারই প্রথম জনসাধারণের ধরাছোঁয়ার মধ্যে হলোগ্রাফিক থ্রি-ডি কনটেন্টের সুবিধা নিয়ে এল রিলায়েন্স জিও।