হাথরস কান্ড নিয়ে সারা ভারত জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। নির্যাতিতার মৃত্যুর পরিবারের আপত্তি অগ্রাহ্য করেই কিছু দিন আগেই ভোরে ওই যুবতীর দেহ সৎকার করে দেয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ৷ অন্য দিকে হাথরসের দলিত তরুণীকে মধ্যরাতে দাহ করার ঘটনায় কাঠগড়ায় উঠেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ এর নাম। এরই মধ্যে ফরেনসিক রিপোর্টের উল্লেখ করে যোগী রাজ্যের পুলিশের দাবি, তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়নি।
অন্যদিকে এই বিষয় মানতে নারাজ উত্তরপ্রদেশের আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটির জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সিএমও। ধর্ষণের অভিযোগের ১১ দিন পরে ওই তরুণীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এতদিন পরে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া সম্ভব নয়। ফলত ধর্ষণ হয়েছে কিনা তাও বোঝা সম্ভব নয়। এই ঘটনার পরেই প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন একাধিক বিরোধি দলের নেতা।
যোগী আদিত্যনাথ সরকার হাথরসের ঘটনায় সিবিআই দিয়ে তদন্তের জন্য প্রস্তাব দিয়েছে৷ ইতিমধ্যেই হাথরস ধর্ষণ কান্ড নিয়ে তোলপাড় হয়েছে সারা ভারত। বৃহস্পতিবার নির্যাতিতা তরুণীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে কার্যত গ্রেফতার হযতে হয়েছিলো রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে।
এছাড়াও হাথরসের পথে গিয়েছে তৃণমূলের সাংসদের দলের প্রতিনিধিরা। আজ হাথরস কান্ড নিয়ে মুখ খুললেন যোগী আদিত্যনাথ, তাঁর অভিযোগ রাজ্যে যে উন্নয়ন চলছে তা অনেকেরই সহ্য হচ্ছে না৷ সেই কারণেই উত্তর প্রদেশ সহগোটা দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে৷ প্রসঙ্গত, গত ১৪ সেপ্টেম্বর উত্তর প্রদেশের হাতরসে ওই যুবতীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। ঘটনার সপ্তাহ দুই পর মঙ্গলবার ভোরে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে যুবতীর মৃত্যু হয়৷ এর পরেই সারা ভারত জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়৷