কলকাতা: প্লাজমা দানের ক্ষেত্রে প্রথম নজিরবিহীন ঘটনা। করোনামুক্ত হয়ে এবার নিজেরই প্লাজমা দান করলেন এক গবেষক ছাত্রী। প্লাজমাদাতা ওই গবেষক ছাত্রীর নাম দেবশ্রী বসাক, থাকেন উত্তর কলকাতার আহিরীটোলায়। গত ২২ জুলাই ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল বায়োলজির গবেষক ছাত্রী দেবশ্রী করোনায় আক্রান্ত হয়।
এমনকি এর পরেই তার বাড়ির সদস্যরাও একে একে করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু দীর্ঘদিন হোম আইসোলেশনের পর গত ১৩ অগাস্ট সম্পূর্ণ করোনামুক্ত হন দেবশ্রী। সুস্থ হওয়ার সাথে সাথেই গবেষণার কাজে যোগ দেন ল্যাবে। পরে গবেষণার মাঝে নিজেই আগ্রহী হয়ে প্লাজমা দান করেন।
মেডিকেল কলেজে প্লাজমা দেওয়ার পরই দেবশ্রী জানায়, ” আমি অধ্যাপক ডক্টর শিল্পক চট্টোপাধ্যায়ের অধীনে গবেষণা করছি। উনি আমায় উৎসাহ দেন প্লাজমা দেওয়ার জন্য। প্রথমে ভয় পেয়েছিলাম যদি কোনভাবে ইনফেকশন হয়। কিন্তু তারপর দেখলাম প্লাজমা দেওয়ার মাধ্যমে অনেকেই সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। তাই আমার মনে হল এই প্লাজমা দেওয়ার মাধ্যমে যদি অন্য কেউ সুস্থ হয়ে ওঠেন তাহলে সেটা অনেকটাই ভালো লাগার জায়গা তৈরি করবে। ইনফেকশনের সম্ভাবনা আছে এই মনে করে পরিবারের লোকেদের মধ্যেও আতঙ্ক ছিল। কিন্তু তারপর তা কেটে গিয়েছে।”
এই মুহূর্তে করোনা থেকে সেরে ওঠা মানুষদের রক্ত থেকে আলাদা করে নেওয়া হচ্ছে প্লাজমা। ওই প্লাজমায় করোনাকে কাবু করার জন্য উপযোগী অ্যান্টিবডি থাকার কারণে শুরু হয়েছে প্লাজমা থেরাপি। এমনকি বর্তমানে কাউন্সিল অফ সাইন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ এর অধীনে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে চলছে পরীক্ষামূলক প্লাজমা থেরাপি।