২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে, ভারত সরকার ৫০০ এবং ১০০০ টাকার পুরনো নোট বাতিল করার পর নতুন ৫০০ টাকার নোট চালু করে। এই নোটটি শুধু লেনদেন সহজ করার জন্য নয়, বরং জাল নোটের সমস্যা মোকাবিলার লক্ষ্যেও তৈরি করা হয়। নতুন ৫০০ টাকার নোটে বেশ কিছু উন্নত বৈশিষ্ট্য যোগ করা হয়েছে, যা জাল নোট সনাক্ত করতে সাহায্য করে। নোটটি পাথর ধূসর রঙের বেসে তৈরি এবং এতে মহাত্মা গান্ধীর ছবি রয়েছে। নোটের পিছনে লাল কেল্লার ছবি এবং দেবনাগরী লিপিতে “ভারত” ও “RBI” লেখা মুদ্রিত।
নতুন ৫০০ টাকার নোটটি একটি আধুনিক ও উন্নত নকশায় তৈরি, যা নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে অত্যন্ত শক্তিশালী। নোটের সামনে মহাত্মা গান্ধীর প্রতিকৃতি কেন্দ্রীয় স্থানে মুদ্রিত, যা ভারতীয় মুদ্রার পরিচিত চিহ্ন। উপরন্তু, ডান দিকে থাকা স্বচ্ছ ৫০০ সংখ্যাটি আলোয় ধরে দেখলে স্পষ্ট বোঝা যায়। নোটের ডান কোণায় দেবনাগরী লিপিতে “৫০০” লেখা রয়েছে, যা এটি আরও নিরাপদ করে তুলেছে। এছাড়া, নোটের পিছনে ঐতিহাসিক লাল কেল্লার ছবি এবং ভারতীয় তিরঙ্গা পতাকার প্রতিচ্ছবি মুদ্রিত হয়েছে, যা ভারতের গৌরবময় ঐতিহ্যকে তুলে ধরে। এইসব বৈশিষ্ট্য নোটটিকে একদিকে যেমন কার্যকর করে তুলেছে, অন্যদিকে জাল নোট চেনার ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের জন্য সহজ করে দিয়েছে।
সম্প্রতি, জাল ৫০০ টাকার নোটের বিস্তার রোধে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে। নির্দেশিকাটি নোটের সঠিক বৈশিষ্ট্য এবং জালিয়াতি প্রতিরোধে সচেতনতার উপর জোর দিয়েছে। নতুন ৫০০ টাকার নোটে স্বচ্ছ ৫০০ সংখ্যাটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য, যা আলোয় ধরে পরীক্ষা করা যায়। এটিএমের মাধ্যমেও কখনও কখনও জাল নোট বিতরণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাই আরবিআই সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে।
সাধারণ মানুষকে জালিয়াতি থেকে রক্ষা করার জন্য আরবিআই নোটের নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যগুলি ভালোভাবে পরীক্ষা করার কথা বলেছে। এর মধ্যে রয়েছে নোটের আকার, রঙ, গভর্নরের স্বাক্ষর, এবং ডিজাইনের সূক্ষ্ম উপাদান। সঠিক সচেতনতা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে এই জালিয়াতির সমস্যা কমানো সম্ভব।