সিবিআই সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু তদন্ত হাতে নিয়ে নেবার পরে জোরকদমে শুরু হয়ে গেছে রিয়া চক্রবর্তী এবং তার পরিবারকে জেরা করার পালা। শুক্রবার টানা ১০ ঘন্টা রিয়া চক্রবর্তী কে জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা। সকাল প্রায় সাড়ে এগারোটা থেকে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদের পর্ব। সুশান্ত সিং রাজপুত এর সঙ্গে তার সম্পর্ক কেন্দ্রিক আগাগোড়া সবকিছু জানতে চায় সিবিআই। কিভাবে তার সঙ্গে দেখা হয়েছিল? কোথায় কোথায় তার একসঙ্গে গিয়েছিলেন? প্রথম তাদের কোথায় দেখা হয়েছিল? বেঁচে থাকাকালীন তাদের লাইফস্টাইল, রিয়া চক্রবর্তীর প্রতি সুশান্তের ব্যবহার, সুশান্তের মানসিক পরিস্থিতি এবং অসুস্থতা, যাবতীয় আয় এবং ব্যয়ের সমস্ত খতিয়ান চাই সিবিআই।
প্রায় দেড় ঘণ্টা একনাগাড়ে নিজের যা কিছু বলার বলে ছিলেন রিয়া চক্রবর্তী। সিবিআই অফিসার তাকে একবারের জন্য থামাননি। একনাগাড়ে কথা বলতে বলতে গলা ধরে গেলে জল খাবার বিরতি নিয়েছেন শুধু। এ পর্যন্ত সবকিছু ঠিকই ছিল।
জিজ্ঞাসাবাদের সময় প্রথম দুই ঘন্টা অত্যান্ত ধৈর্য সহকারে সিবিআই এর সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেয় রিয়া চক্রবর্তী।কিন্তু যখন সিবিআই তার থেকে বিশেষ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তারিখ এবং সময় নিয়ে প্রশ্ন শুরু করতে শুরু করে, তখন হঠাৎ করে সিবিআই এর প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে কেঁপে ওঠে রিয়া চক্রবর্তী।
টাইমস নামের প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী,সিবিআইয়ের জেরার মুখে পড়ে বাধ্য হয়ে যাক চ্যাট এর সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন রিয়া চক্রবর্তী। সুশান্ত মামলায় শুধুমাত্র সিবিআই নয়, একসঙ্গে তদন্ত করতে শুরু করেছে ইডি, এবং নারকটিকস কন্ট্রোল বিউরো। পিয়াকা চক্রবর্তী ছাড়াও সৌভিক চক্রবর্তী এবং জয়া শাহ, গৌরব আর্য র বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সুশান্ত সিং রাজপুত এর মামলায় খুব তাড়াতাড়ি রিয়া চক্রবর্তী কে সমান পাঠাবে এনসিবি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা গেছে যে,এডিতর অফ এ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এনসিভির আধিকারিকদের জানানো হয় যে, রিয়া চক্রবর্তী নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে।সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট রিসিভ করে দেয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীদের কথোপকথনের তথ্য উঠে এসেছে সামনে।
শুধুমাত্র রিয়া চক্রবর্তী নয়,রিয়ার ভাই সৌভিক চক্রবর্তী সুশান্তের ফ্ল্যাটম্যাট সিদ্ধার্থ পিঠানি, রাঁধুনি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে তিনটি দলে ভাগ করে শুরু হয় জেলা পর্ব। এদিন সকালে রিয়া চক্রবর্তী পৌঁছানোর আগেই পৌঁছে যান সিদ্ধান্ত। রিয়া ছাড়া তার বাড়ির সকল কেই একাধিকবার জিজ্ঞাসা করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তদন্তভার হাতে নেবার পর সিদ্ধান্ত এবং নির্বাচনে প্রায় প্রতিদিনই হাজির হতে হয়েছে গোয়েন্দাদের সামনে।