নিউজপলিটিক্সরাজ্য

ইতিহাস-ভূগোল জেনে তারপর বক্তৃতা দিন, অভিষেকের বিরুদ্ধে তোপ সোমেন পুত্রের

Advertisement

এবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের ছেলে রোহন মিত্র। সাতগাছিয়া তে একটি সভা করতে গিয়ে অভিষেক সোমেন মিত্রের নাম তুলে বক্তব্য করেছিলেন। আর সেই বক্তব্যের পাল্টা রোহন মিত্র অভিষেকের উদ্দেশ্যে বলেন,” ইতিহাস-ভূগোল জেনে রাজনীতিতে নামা উচিত। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ থাকাকালীন প্রয়াত সোমেন মিত্র কি কি কাজ করেছিলেন তা হয়তো অশোক দেব এর কাছ থেকে জেনে নেওয়া উচিত ছিল। হোমওয়ার্ক না করলে ভুলভাল কথা মুখ থেকে বেরিয়ে আসবেই। আজ ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের তাই হল।

সিপিএমের একটি শক্ত ঘাঁটি ছিল ডায়মন্ড হারবার। আর সেইখানে জয়লাভ করেছিলেন প্রয়াত সোমেন মিত্র। আর সেই প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখেন রোহন। রোহন মিত্র বললেন,”অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়তো এটা জানা নেই, সৌমেন মিত্র যখন প্রতিযোগিতা করতে যান, তখন সেটা ছিল বামফ্রন্টের দখলে থাকা একটি অত্যন্ত কঠিন আসন। সোমেন মিত্রের জেতা আসনে এখন অভিষেক বাবু প্যারাসুট ট্রুপার হয়ে সাংসদ হয়ে আছেন। সোমেন মিত্র নিজের দায়বদ্ধতার বিষয়ে কোনরকম আপস করেননি। সেই দায়বদ্ধতা থেকে তিনি সাংসদ হিসেবে ডায়মন্ড হারবারের মানুষের সাহায্য করে গিয়েছেন। দুর্নীতিগ্রস্ত একটা দলের সংসর্গ ত্যাগ করে আবার নিজের পুরনো দল কংগ্রেসে ফিরে আসেন।”

তিনি এরপর আরো বলেন,”অভিশেক বাবু জনসভায় বলেছেন, ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ থাকাকালীন সৌমেন মিত্র নাকি কোন কাজ করেননি। অভিষেক বাবুর নিশ্চয়ই জানা আছে, সারোদা সহ চিটফান্ড দুর্নীতির কবলে পড়ে ডায়মন্ড হারবার তথা দক্ষিণ ২৪ পরগনার মানুষ সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেই সব হারানো মানুষগুলোর প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে সৌমেন মিত্র তৃণমূল ছেড়েছিলেন। তৃণমূলের মত অসৎ দলের সঙ্গ ছেড়ে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার শপথ নিয়েছিলেন।

শুধু তাই না, সাংসদ থাকাকালীন চিটফান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে তিনি সর্বোচ্চ স্তরে চিঠি লিখেছিলেন। আবারো বলছি, অভিষেক বাবু, সোমেন মিত্রের মূল্যায়ন করার আগে, ইতিহাস-ভূগোল টা একটু ভালো করে দেখে নিন। দরকারে, আপনার দলের নেতা মন্ত্রীদের থেকে একটু আধটু হোমওয়ার্ক করে আসুন।”

Related Articles

Back to top button