একবিংশ শতাবদীর মানুষ ফাস্টফুড, জাঙ্কফুড বেশি খাওয়ায় ওবেসিটির সমস্যায় ভুগছেন প্রচুর মানুষ। অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধির জন্যে অনেকের বিরক্ত হতে হয় পছন্দের পোশাক পরতে, সকলের মাঝে ছবি তুলতে। ওজন কমানোর জন্য খুব কঠোর পরিশ্রম করতে হয় ও খাবার খুব ভেবে খেতে হয়। কিন্তু আজ আমরা আপনাদের বলব সহজে কী করে ওজন কমাতে পারবেন।
আপনি নিজের ওজন কমাতে চাইলে এখন থেকে ভাতের বদলে রুটি খাওয়া শুরু করুন। রুটির উপকারিতা কি কি:-
আটা এবং জল মসৃণ করে রুটি তৈরি করা হয়। তাই রুটি আমাদের যদি ওজন কমাতে সাহায্য করে কারণ এতে কোনো এক্সট্রা ফ্যাট জাতীয় কিছু থাকে না। কিন্তু যে কোনো আটা নয় এমন একটি আটা ব্যবহার করেতে হবে, যেটি ওজন কমাতে খুব সক্ষম।
রুটি খেলে চর্বির মাত্রা খুব কমে যায় শরীরে; রুটি তৈরিতে কম ক্যালোরিযুক্ত আটা ব্যবহার করা উচিত। তাই জোয়ারের আটা ব্যাবহার করা খুব ভালো, এটি দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই এখন কেউ আপনাকে ওজন কমানো এবং ফিট হওয়া থেকে আটকাতে পারবে না।
রুটি খেলে খুব সহজে ওজন কমানো যায়। চীনের বিশেষজ্ঞদের করা একটি গবেষণার ফল হিসেবে এটি প্রমাণিত হয়েছে। স্থূলতার চিকিৎসায় জোয়ারের ভূমিকা জানতে এই গবেষণা করা হয়েছিল।
যাওয়ার রুটি খাওয়ার উপকারিতা কি কি:-
জোয়ারের আটা ফেনোলিক যৌগের জন্য পরিচিত। যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার প্রদাহ বিরোধী প্রভাব দেখায় এবং শরীরে প্রদাহ কমায়।
জোয়ার রোটির গুনাবি জানা যাক:-
প্রতিদিন জোয়ারের রুটি খেলে শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমানো যায়। এর পাশাপাশি, জোয়ার লিপিড মেটাবলিজম ব্যাধির উন্নতিতেও সাহায্য করে।
যোওয়ার রুটি কি করে ওজন কমাবে জানুন:-
জোয়ারে রয়েছে ভালো পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার। যা হজমশক্তির উন্নতি ঘটায়। তাই জোয়ারের রুটি খেলে আপনি পেটের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফাঁপা ইত্যাদি থেকে মুক্তি পাবেন। সেই সঙ্গে কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে জোয়ার।
এই আটার রুটি খাওয়া উপকারী কি কি :-
ডায়াবেটিসের ভিতরে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ (জওয়ার রোটি রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে)। তাই উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যুক্ত খাবার থেকে দূরে থাকা উচিত। কারণ এটি দ্রুত রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু জোয়ার একটি কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত খাবার, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী।