খুব শীঘ্রই ভারতের মার্কেটে আসছে রয়েল এনফিল্ড ইলেকট্রিক বাইক, বুলেটের মতই হবে দমদার
রয়েল এনফিল্ড এর সিইও ইতিমধ্যেই এই বাইকের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করে দিয়েছেন
যদি আপনি রয়েল এনফিল্ড কোম্পানির বাইক কিনতে পছন্দ করে থাকেন এবং আপনি এই কোম্পানির একটি ইলেকট্রিক বাইক কেনার পরিকল্পনা করে থাকেন তাহলে আপনার জন্য রয়েছে সুখবর। আর কিছুদিনের মধ্যেই রয়েল এনফিল্ড কোম্পানিটি তাদের নতুন ইলেকট্রিক বাইক লঞ্চ করতে চলেছে। এখনো পর্যন্ত এই ব্যাপারে কোন সঠিক তথ্য কোম্পানির তরফ থেকে পাওয়া যায়নি। তবে যেটুকু খবর শোনা গিয়েছে তার থেকে বোঝা যাচ্ছে, খুব শীঘ্রই ভারতের বাজারে রয়েল এনফিল্ড এর ইলেকট্রিক বাইক আসতে চলেছে, যা রীতিমতো চাপে ফেলে দেবে ভারতে বর্তমানে জনপ্রিয় কিছু ইলেকট্রিক বাইক এবং স্কুটি কোম্পানিকে।
২০২০ সালের আগস্ট মাসে রয়েল এনফিল্ড এর সিইও বিনোদ দসারি সরাসরি জানিয়ে দিয়েছিলেন, এই জনপ্রিয় বাইক কোম্পানিটি এবারে ইলেকট্রিক সেগমেন্টে প্রবেশ করার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। এই ঘোষণার পরেই রয়েল ইনফিল্ড কোম্পানির ভারতীয় শাখাটি ইলেকট্রিক সেগমেন্টে প্রবেশের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। ২০২০-২১ সালের বার্ষিক রিপোর্ট থেকেই এ বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছিল, খুব শীঘ্রই এই সেগমেন্টে প্রবেশ করতে চলেছে রয়েল এনফিল্ড।
তবে শুধুমাত্র রয়েল এনফিল্ড একা নয়, এই একই সেগমেন্টে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে ভারতের অন্যান্য একাধিক জনপ্রিয় বাইক কোম্পানি। টিভিএস, হিরো, এথার, বিএমডাব্লিউর মতো কোম্পানিগুলিও ইলেকট্রিক বাইক মার্কেটে প্রবেশ করার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। আগামী কয়েকটি মাসের মধ্যে এই সমস্ত কোম্পানির ইলেকট্রিক বাইক আমরা দেখতে পাবো বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। রয়েল এনফিল্ড কোম্পানিটিও এই একই মার্কেটে নিজের একটা আলাদা পরিচয় তৈরি করার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। রয়েল এনফিল্ড জানিয়ে দিয়েছে, ইতিমধ্যেই তাদের ভারতীয় প্রোডাকশন লাইন এবং বিশ্বের বাজারে চালু ইলেকট্রিক বাইক এর ভারতীয় প্রোটোটাইপ তৈরি করা হয়ে গিয়েছে। এই মুহূর্তে ভারতীয় বাজারে ইলেকট্রিক বাইক তৈরি করার জন্য তারা বৈঠক করতে শুরু করেছে।
মনে করা হচ্ছে আগামী ২০২৩ সালে ইলেকট্রিক বাইক ভারতের বাজারে আসতে পারে। খুব শীঘ্রই ভারতে ইলেকট্রিক বাইক এর প্রোডা মিকশন শুরু হতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। গ্রেট ব্রিটেনে অবস্থিত কোম্পানির অনুসন্ধান এবং বিকাশ উইং ইতিমধ্যেই ভারতীয় বাইক প্রস্তুতির জন্য কাজ করতে শুরু করেছে। বেশ কিছু মিডিয়া রিপোর্টে উঠে আসছে, যখন ভারতে এই বাইক আসবে সেই সময় এই বাইকের ব্যাটারি ৮ থেকে ১০ কিলোওয়াট ঘন্টা পাওয়ার দিতে পারবে।