তুলে নেওয়া হল ২০০০ টাকার নোট, আপনার কাছে থাকা নোটগুলির কী করবেন? জানুন
২০১৮ সাল থেকেই ২০০০ টাকার নোট ছাপানো বন্ধ করেছিল RBI ২০১৮ সাল থেকেই ২০০০ টাকার নোট ছাপানো বন্ধ করেছিল RBI
গতকাল ১৯ মে শুক্রবার ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়ে দিয়েছে যে ২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহার করা হবে মার্কেট থেকে। আর এই খবর সামনে আসতেই দেশজুড়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল। তবে এই ডিমোনিটাইজেশন ২০১৬ সালের থেকে সম্পূর্ণভাবে আলাদা। আরবিআই জানিয়েছে যে, প্রত্যেক সাধারণ মানুষ ২ হাজার টাকার নোট ২৩ মে এর পর থেকে নিকটবর্তী ব্যাংকে গিয়ে বিনিময় করে আনতে পারবেন। ব্যাংকের কাজের সুবিধার কথা মাথায় রেখে প্রত্যেক ব্যক্তি প্রতিদিন ২০ হাজার টাকা বা ১০ টি ২০০০ টাকার নোট বিনিময় করতে পারবেন। তবে গতকালের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে নানান প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারণ মানুষের মনে। আজকের এই প্রতিবেদনে এই ডিমোনিটাইজেশন সম্বন্ধে বেশ কিছু তথ্য জানানো হলো যা হয়তো অনেকেই জানেন না।
প্রথমেই সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন হচ্ছে হঠাৎ করে এই ২০০০ টাকার নোট তুলে কেন নেওয়া হল? আসলে ২০০০ টাকার নোটটি আরবিআই আইন 194 এর ধারা 24(1) এর অধীনে ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে জারি করা হয়েছিল। সেই সময় ৫০০ ও ১০০০ টাকার মোট প্রত্যাহারের জন্য যে অর্থনৈতিক চাহিদা সৃষ্টি হয়েছিল তা মেটাতে এই নোট ব্যাপক কাজে লেগেছিল। এর উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই ২০১৮ সাল থেকে এই নোট ছাপানো বন্ধ করে দিয়েছে আরবিআই। তাই ‘ক্লিন নোট পলিসি’-র অধীনে আরবিআই এই দুই হাজার টাকার নোট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সাধারণ মানুষ এই ২০০০ টাকার নোট দিয়ে এখনও লেনদেন করতে পারবেন। তবে তাদের সেই সমস্ত নোট ৩০ শে সেপ্টেম্বরে আগে ব্যাংকে জমা দিয়ে বিনিময় করে নিতে হবে। ব্যাংকের পাশাপাশি ৩০ শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আরবিআই ১৯ টি আঞ্চলিক অফিসে এই বিনিময়ের সুবিধা দেবে। এছাড়া গ্রাহকরা তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোনো সীমা ছাড়াই ২০০০ টাকার নোট জমা করতে পারবেন যদি তার কেওয়াইসি এবং সমস্ত শর্ত ঠিক থাকে। তবে ব্যাংকের কাজের সুবিধার জন্য প্রতিদিন ২০ হাজার টাকা বা ২ হাজার টাকার ১০টি নোট জমা করা যাবে। এই বিনিময় শুরু হবে ২৩ মে থেকে।
এছাড়া আপনাদের জানিয়ে রাখি, আপনি যেকোনো ব্যাংকের শাখা থেকে এই ২০০০ টাকার নোট পরিবর্তন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে ওই ব্যাংকে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকলেও চলবে। এছাড়া এই নোট বিনিময় করতে কোনরকম ফি দিতে হবে না। এই ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিনামূল্যের। এছাড়া আরবিআই প্রবীণ নাগরিক, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অসুবিধা কমানোর জন্য ব্যাঙ্কগুলিকে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছে। আর কোনো ব্যাঙ্ক যদি এই বিনিময় করতে অস্বীকার করে তাহলে cms.rbi পোর্টালে অভিযোগ নথিভুক্ত করতে পারবেন সাধারণ মানুষ।