বঙ্গ রাজনীতিতে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে AIMIM এসে কি রদবদল করে দেবে? এটাই এখন সবার প্রশ্ন। অনেকেই মনে করছেন যে মিম বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করলে তারা পরোক্ষভাবে বিজেপির সাহায্য করবে। তারা রাজ্যে সংখ্যালঘু ভোট নিজেদের দিকে টেনে নিয়ে ভোট কাটার হিসাবে কাজ করবে। তাহলে মিমের বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে নামা অন্যদিকে বিজেপির কি সুবিধা? এই প্রশ্ন এখন সবার মধ্যে। এইজন্য বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে এই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হলে তিনি উত্তর দিয়েছেন যে মিম একটি রাজনৈতিক দল। সংবিধান অনুযায়ী তারা নির্বাচনী লড়াইয়ে নামতে চাইলে কেউ মানা করতে পারে না।
বিহার ভোটে মিমের ৫ টি আসন জয়লাভের পর তারা বাংলা নির্বাচন লড়বে বলে জানিয়ে দিয়েছে। তাতেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী অভিযোগ জানিয়েছেন যে বিজেপিকে সুবিধা দিতেই মিম বাংলায় ভোটে নামছে। মিম রাজ্য সংখ্যালঘু ভোট নিজের দিকে টেনে নিয়ে তৃণমূলের একাংশ ভোটব্যাঙ্ক ছিনিয়ে নিতে চাই। তাতে আখেরে লাভ হবে বিজেপির। তাই অমিত শাহ নেপথ্যে মিমকে এনে রাজ্যে সংখ্যালঘু ভোট কাটার চেষ্টা করছে।
অন্যদিকে দিলীপ ঘোষ বলেছেন যে এ রাজ্যের মুসলিম ভোট বিজেপি নিয়ন্ত্রণ করে না। এরাজ্যে মুসলিমরা বিজেপিকে ভোট দেয় না। এবার আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে মুসলিমরা যদি সিপিএম কংগ্রেস তৃণমূলকে ছেড়ে অন্য কাউকে ভোট দেয় তাহলে ধরে নিতে হবে তারা ধোঁকা দিয়েছে। এবার মুসলিমরাও কোন অন্য বিকল্প খুঁজছে।
তবে সেই সাথে তিনি যোগ করেছেন যে এরাজ্যের মুসলিমরা এতদিন বিজেপিকে ভরসা করেনা বা বিকল্প হিসেবে মানতে চায় না। কিন্তু আগামী দিনে মুসলিমরাও বিজেপিকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে। তিনি জানিয়েছেন আস্তে আস্তে সংখ্যালঘু মোর্চা বাড়ছে। মুসলিমরা কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ পাচ্ছে। আর অন্যদিকে রাজ্যের শাসক দল মুসলিমদের তাদেরকে কেনা সম্পত্তি ভেবে নিয়েছে। তাদেরকে সংখ্যালঘু গরিব হিসাবেই দেখে বিরোধী দলরা। তিনি বলেছেন কে কাকে বিশ্বাস করে ভোট দেবে তারা সেটা তার সম্পূর্ণ নিজস্ব ব্যাপার। আর সাংবিধানিক অধিকার বলে মিম বাংলায় নির্বাচন লড়লে বিজেপির কোনো মাথাব্যথা নেই।