ক্রমশ পড়ছে টাকার দাম, জেনে নিন এই সংক্রান্ত ৫ টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক পুঁজিবিহীন ইয়েস ব্যাঙ্কের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের পর আজ ভারতীয় মুদ্রার দাম কমে ডলার প্রতি ৭৪.০৮ টাকাতে এসে পৌঁছালো। করোনা ভাইরাস আতঙ্ক ও ইয়েস ব্যাংক সঙ্কটের কারণেই টাকার এই পতন বলে মনে করা হচ্ছে। এই সংক্রান্ত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সাধারণের সুবিধার্থে বিশ্লেষণ করা হলো।
১) অভ্যন্তরীণ ঝুঁকিপূর্ণ মনোভাব অনুভব করে আরবিআই বৃহস্পতিবার ভারতের পঞ্চম বৃহত্তম ঋণদানকারী বেসরকারি সংস্থা ইয়েস ব্যাঙ্কের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এবং ব্যাংকের আর্থিক অবস্থার অবনতি রুখতে সর্বোচ্চ ৫০,০০০ টাকা তোলার নির্দেশিকা জারি করেছে। আরবিআই ৩০ দিনের জন্য ব্যাংকের পরিচালক গোষ্ঠীকে সরিয়ে দিয়ে স্বাধীন প্রশাসক নিয়োগ করেছে। এই পদক্ষেপ ইয়েস ব্যাংকের পুনর্জীবন পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।
২) সরকার কর্তৃক ইয়েস ব্যাংকের দখল এমন সময় নেওয়া হয়েছে যখন ভারতের ধীরগতির অর্থনীতি করোন ভাইরাস সংক্রান্ত সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইয়েস ব্যাংকের পতনের প্রভাব সেনসেক্সের সাথে সমস্ত বাজার জুড়ে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। নিফটি দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে, কমছে ভারতীয় মুদ্রার মূল্য। ঋণ বাজারগুলি ক্রমশ নিম্নমুখী হচ্ছে।
আরও পড়ুন : সর্বকালীন রেকর্ড সোনার দামে, বাড়ল রুপোর দামও
৩) ব্যাংকিং স্টকগুলিও চাপের মধ্যে রয়েছে। সেনসেক্স নেমেছে ১,৪০০ পয়েন্টের বেশী।
৪) ইয়েস ব্যাংক থেকে টাকা তোলার পরিমাণ ৫০,০০০ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধতা জারি করার কারণে দাম কমেছে ভারতীয় মুদ্রার। বিশ্বব্যাপী করোন ভাইরাস মামলার সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে বিশ্বব্যাপী ঝুঁকিপূর্ণ মনোভাবও অত্যন্ত দুর্বল হচ্ছে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
৫) এছাড়াও এশিয়ান মুদ্রাগুলি মার্কিন ডলারের তুলনায় দুর্বল হয়েছে। অর্থনীতির বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে, দুর্বল মুদ্রা ঋণ গ্রহণের ব্যয়কে বাড়িয়ে তুলবে। দুর্বল মুদ্রার কারণে গার্হস্থ্য সোনার দাম আজ সর্বোচ্চ রেকর্ডে পৌঁছেছে। প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম ৪৫,০০০ টাকার কাছাকাছি পৌঁছেছে।