করোনাকে জব্দ করতে বাজারে আসছে ‘স্পুটনিক লাইট’, এক ডোজেই হবে বাজিমাত
স্পুটনিক লাইটের এক ডোজ ৭৯.৪ শতাংশ সফল
চলতি বছরের এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে দেশজুড়ে করোনার প্রকোপ জাঁকিয়ে বসেছে। গোটা দেশে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ছে এই সংক্রমণ। প্রত্যেকদিন বর্তমানে ৪ লাখের কাছাকাছি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এক কথায় বলতে গেলে দেশজুড়ে বিভীষিকাময় পরিস্থিতি চালু হয়েছে। এই মুহূর্তে গোটা দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার ভিত নড়ে গেছে। বর্তমানে দেশজুড়ে জোরকদমে টিকাকরন প্রক্রিয়া চলছে। আপাতত ভারতে সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়াও সম্প্রতি ছাড়পত্র পেয়েছে রাশিয়ার স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিন। তবে এরইমধ্যে স্পুটনিক পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে যে করোনা মহামারীর রুখতে তাদের হাতে আরেক অস্ত্র “স্পুটনিক লাইট” এসেছে।
গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাশিয়ার তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে তারা করোনা সংক্রমণ রোধের জন্য আরও একটি নতুন ভ্যাকসিন তৈরি করেছে যার নাম “স্পুটনিক লাইট”। এই ভ্যাকসিন পৃথিবী থেকে এই মারণ ভাইরাস ধ্বংসের কাজে অন্যতম ভূমিকা পালন করবে সেই বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। জানা গিয়েছে যে পরীক্ষা করে দেখা গেছে স্পুটনিক ভি এর ডবল ডোজ যেখানে ৯১.৬ শতাংশ কার্যকর সেখানে এই স্পুটনিক লাইট এর এক ডোজ ৭৯.৪ শতাংশ সফল। এক কথায় বলতে গেলে এক ডোজেতেই বাজিমাত। এই তথ্য প্রকাশ করেছে রাশিয়ার ভ্যাকসিন তৈরিতে আর্থিকভাবে সহায়তকরি সংস্থা দা রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেসমেন্ট ফান্ড বা RDLF।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই সংস্থা তাদের নতুন স্পুটনিক লাইট ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়ার ২৮ দিন পর তার কার্যকারিতা পরীক্ষা করেছে। প্রাপ্ত ফলে বেশ খুশি এই সংস্থা। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ৬০ টি দেশ এই রাশিয়ান ভ্যাকসিন গ্রহণ করার জন্য আগ্রহ দেখিয়েছে। তবে এখনো অব্দি ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি বা আমেরিকান ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এই টিকাতে সম্মতি দেয় নি। কিছুদিন আগে ভারত স্পুটনিক ভি টিকাতে ছাড়পত্র দিয়েছিল এবং ইতিমধ্যেই অনেক টিকা ভারতে এসে পৌঁছেছে। এবার সরকারের পক্ষ থেকে স্পুটনিক লাইট এ ছাড়পত্র দেওয়া হয় নাকি, সেটাই দেখার।