পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলোয তুলে ধরা হল ‘সবুজ সাথী’ প্রকল্প, বদলে দেওয়া হয়েছে কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিলের রুট
নয়াদিল্লি: আজ, মঙ্গলবার (Tuesday) দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে ৭২তম প্রজাতন্ত্র দিবস। প্রজাতন্ত্র দিবস (Republic Day) উপলক্ষে কার্যত সেজে উঠেছে রাজধানী দিল্লি (Delhi)। ইতিমধ্যেই টুইট করে দেশবাসীকে ৭২তম প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সকাল ৯টা ৫০ মিনিট নাগাদ দিল্লির বিজয় চক থেকে শুরু হয় ভারতীয় সেনাদের কুচকাওয়াজ। এবার প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবসে রয়েছে রাফাল যুদ্ধবিমান সহ একাধিক যুদ্ধবিমান। ১২২ সদস্যের বাংলাদেশ সেনা এবারে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করেছে। আজ রাজধানীর রাজপথে প্রদর্শিত হয়েছে তিন সেনাবাহিনীর শৌর্য এবং দেশের নানা প্রান্তের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। তবে প্রত্যেকবারের মতো এবারের প্রজাতন্ত্র দিবস পালন অতটাও জাঁকজমকপূর্ণভাবে করা হচ্ছে না। বরং থাকছে বেশ কিছু বিধিনিষেধ। তবে তার মধ্যেই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ একাধিক সাংস্কৃতিক কার্যকলাপের আয়োজন করা হয়েছে। রয়েছে বেশ কিছু ট্যাবলো। আর পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলোয় মধ্যে তুলে ধরা হয়েছে ‘সবুজ সাথী’ প্রকল্প।
৭২তম প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী সহ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। প্রধান অতিথি হিসেবে ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও ইংল্যান্ডে দ্বিতীয় পর্যায়ের করোনা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হওয়ার কারণে তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি। কিন্তু দেশকে শুভেচ্ছাবার্তা জানাতে ভোলেননি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। তিনি একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, ‘ভারত বিশ্বের সর্ববৃহৎ সার্বভৌম গণতন্ত্র। আমার বন্ধু প্রধানমন্ত্রী মোদি এমন গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। আমি ভীষণভাবে চেয়েছিলাম এতে যোগ দিতে। কিন্তু করোনার বিরুদ্ধে আমাদের যৌথ লড়াই লন্ডনে থাকতে বাধ্য করল আমাকে। তবে এখান থেকে আমি সকল ভারতীয়কে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’
এদিকে বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আন্দোলনকারী কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিল হবে। যার জন্য ইতিমধ্যেই নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে রাজধানী দিল্লিকে। বদলে দেওয়া হয়েছে মিছিলের রুট। দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে একাধিক শর্ত। তবে এসব শর্তকে কতটা মানবেন আন্দোলনকারী কৃষকরা, সেটাই এখন দেখার।