অবসরের এতো বছর পরও মাঠে মাস্টার ব্লাস্টার শচীনের দুর্দান্ত ইনিংস দেখল ভক্তরা। অতীতের স্মৃতি আরও একবার চাঙ্গা হয়ে উঠলো। ৩০ বলে অনায়াসে হাফ-সেঞ্চুরি আদায় করলেন তিনি। শনিবার রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজে (RSWS)দক্ষিণ আফ্রিকা লেজেন্ডসের বিপক্ষে খেলতে নামে ইন্ডিয়া লেজেন্ডস। রায়পুরের শহীদ বীর নারায়ণ সিং ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা লেজেন্ডসের বিরুদ্ধে ৫৭ রানে জয় লাভ করে ইন্ডিয়া লেজেন্ডস। শনিবার গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে শচীন টেন্ডুলকারের আইকনিক স্ট্রেইট ড্রাইভ দিয়ে শুরু হওয়া জাদুর বেশ কিছু মুহূর্তের সাক্ষী ছিল সমর্থকরা। উপরন্তু, মাস্টার ব্লাস্টার সামনে থেকে তাঁর দলকে নেতৃত্ব দিয়ে একটি অর্ধ-শতক করেন, যা ভক্তদের নস্টালজিক করে তোলে।
জয়ের জন্য ২০৫ রান তাড়া করতে নেমে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪৮ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্যাটিং মায়েস্ত্রো শচীন টেন্ডুলকার টুর্নামেন্টের প্রথম অর্ধ-শতক পান। টেন্ডুলকার নয়টি বাউন্ডারি এবং একটি ছয় সঙ্গে একটি ৩৭ বলে ৬০ ক্র্যাক করেন। টেন্ডুলকার তাঁর উদ্বোধনী সঙ্গী বীরেন্দ্র সহবাগের সাথে ব্যাট হাতে মাঠে নামতেই ‘শচীন, শচীন’ ধ্বনিতে গর্জে ওঠে গোটা স্টেডিয়াম।
যাইহোক, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে যুবরাজ সিং এর ঝোড়ো ব্যাটিং সমর্থকদের মধ্যে উন্মাদনা সৃষ্টি করে।বিস্ফোরক অলরাউন্ডারের সামনে বোলারদের কোন কৌশলই কাজ করেনি। ২৩৬.৩৬ স্ট্রাইক রেটে ৬ টি ছক্কা এবং ২ টি চার মেরে অনায়াসে অর্ধ-শতরান হাসিল করে নেন যুবরাজ , তাঁর এই ইনিংস ভারতকে অনায়াসে ২০৪ রানের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয় এবং দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য বিশাল এক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে।
যুবরাজ সিং পুনরায় তাঁর ভক্তদের ২০০৭ সালে ফিরিয়ে নিয়ে যান। ২০০৭ সালে তিনি ডারবানে ইংল্যান্ডের স্টুয়ার্ট ব্রডকে এক ওভারে ছয় ছক্কা মারেন। যদিও এবার তাঁর টার্গেট ভিন্ন ছিল।ভারতের সাবেক এই অলরাউন্ডার ক্রুগারকে পরপর চারটি ছক্কা মেরে ডারবানে তাঁর খেলা ইনিংস ভক্তদের মনে করিয়ে দিয়ে নস্টালজিক করে তোলেন। শেষ ১০ বলে তিনি ৬ টি ছয় মারেন। ২২ বলে তাঁর রান ছিল ৫২। যুবরাজ এবং শচীন ছাড়াও, বদ্রীনাথ ৪২ রানের একটি কার্যকর ইনিংস খেলেন। ইউসুফ পাঠান ২৩০ স্ট্রাইক রেটে ২৩ রান করেন। যদিও ভারত ইতোমধ্যে রোড সেফটি সিরিজের সেমিফাইনালে উঠেছে, কিন্তু আজকের এই জয় পয়েন্ট টেবিলে দক্ষিণ আফ্রিকার স্থানও নিশ্চিত করবে।