জলপাইগুড়ি ট্রেন দুর্ঘটনার খবরে কেঁপে উঠেছিল গোটা দেশ। এতে প্রাণ হারিয়েছেন একাধিক যাত্রী। একই সঙ্গে আহত হয়েছেন বহু মানুষ। একের পর এক ট্রেন দুর্ঘটনা সবাইকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। যখনই এরকম কোনো ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে তখনই তাতে যাত্রীদের হতাহতের ব্যাপারে থাকে চরম আশংকা। তবে ট্রেনে এমন কিছু কোচ রয়েছে, যার মধ্যে বসে থাকা যাত্রীদের নিরাপদে থাকার সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করা হয়। সব মিলিয়ে দুর্ঘটনার পর এ ধরনের কোচের ক্ষতি কম হয়। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক এরকম একটি বগি কোনটি।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় সাধারণ কোচগুলোর
তথ্য অনুযায়ী, ট্রেন দুর্ঘটনার সময় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় সাধারণ কোচগুলোর। কারণ এগুলো ইঞ্জিনের কাছাকাছি এবং পেছনে থাকে। এই বগিগুলি সামনে বা পিছনের সঙ্গে সংঘর্ষ হলে প্রথমে আঘাত প্রাপ্ত হয়। এ ছাড়া সাধারণ কোচগুলোতে জায়গার চেয়ে বহুগুণ বেশি যাত্রী থাকে, যার কারণে এসব কোচে প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়। তবে প্রতিটি যাত্রীবাহী ট্রেনে কিছু কোচ থাকে যেগুলো দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে কম ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
যদিও সংঘর্ষের তীব্রতা বেশি হলে ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রতিটি বগি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এর প্রভাব কোথাও না কোথাও সব যাত্রীর ওপর পড়তে পারে। তবে কিছু কোচ আছে যেগুলো অন্য কোচের তুলনায় কম ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। অনেকে মনে করেন এসি কোচগুলোতে জীবনহানির সম্ভাবনা কম থাকে।
প্রভাব সাধারণ কামরার চেয়ে কম
এসি কোচগুলি তুলনামূলক নিরাপদ বলা যেতে পারে কারণ তারা ট্রেনের মাঝখানে থাকে। সামনে ট্রেনের সংঘর্ষ হলে এসি কামরায় তার প্রভাব সাধারণ কামরার চেয়ে কম পড়বে। এছাড়া সাধারণ ও স্লিপার কোচের তুলনায় এসি কোচে ভিড় কম থাকে। এতে ক্ষয়ক্ষতিও কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।
যে কোনও ট্রেন দুর্ঘটনায় সবচেয়ে নিরাপদ হওয়ার সম্ভাবনা কেবল তখনই যখন আপনি ট্রেনের মাঝামাঝি অবস্থান করবেন। কারণ ধাক্কা সরাসরি মাঝের বগিতে হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এর ফলে জীবন হানি হওয়ার সম্ভাবনাও কম হবে।