কৌশিক পোল্ল্যে: গোটা বিশ্বজুড়েই চলছে করোনা আবহ। সাবধানতা বজায় রাখতে মাস্ক হয়ে উঠেছে আমাদের জীবনের নিত্যদিনের সঙ্গী। বাড়তি সতর্কতা বজায় রাখতে কেউ কেউ ব্যবহার করছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। সোশ্যাল মিডিয়া মারফত বহু তারকা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন কি করতে হবে আর কি কি করা উচিত নয়। অবশ্য জানিয়ে দেওয়াটা তাদের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে যেহেতু তারা প্রত্যেকেই সেলিব্রিটি এবং বলা চলে পাবলিক ফিগার। সেরকমটাই তো এতদিন হয়ে আসছিল। কিন্তু হঠাৎ করে কি হলো খান পরিবারের? কেন তারা এমনটা করলেন? চলুন পুরো বিষয়টি জেনে নেওয়া যাক।
লকডাউনের প্রায় শেষ পর্বে এসে ইনস্টাগ্রামে ভাইরাল হলো এক ভিডিও যেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে মুখে মাস্ক ছাড়াই খোলামেলা ঘুরে বেড়াচ্ছেন নবাব পরিবারের তিন সদস্য সঈফ, করিনা এবং তাদের ছোট্ট ছেলে তৈমুর। তারাও তো পাবলিক ফিগার, তাহলে বাড়তি সতর্কতা বজায় রাখতে তারা কেন মাস্ক পড়লেন না? এরকম দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়ে তারা কি প্রমাণ করতে চাইলেন? এসব প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে ওই ছোট্ট ভিডিওটির কমেন্ট বক্সে।
তবে কি লকডাউনকে সেভাবে গুরুত্ব দিতে চাইছেনা খান পরিবার নাকি এসব নিতান্তই হয়েছে ভুলের বশে, সে প্রশ্নের উত্তর কারোর জানা নেই। অনেকে এও মন্তব্য করে লিখেছেন যে তৈমুরের মত ছোট্ট ছেলে তাদের সঙ্গে থাকা সত্ত্বেও তারা সেই ছোট্ট ছেলেটির কথা ভেবে অন্তত মাস্ক ব্যবহার করলেন না কেন? যদিও এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত খান পরিবারের তরফ থেকে কোনো রকম প্রতিক্রিয়া আসেনি। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে তারা তিনজনেই লকডাউনের গ্লানি কাটাতে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন।
যেখানে অন্যান্য সেলেবরা প্রতিদিন প্রতিনিয়ত সতর্কবার্তা দিয়ে যাচ্ছে সেখানে খান পরিবার এ কোন উদাহরণ দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করল। বর্তমানের কঠিন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে যেখানে প্রতিদিন সাত থেকে আট হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন সেই অবস্থায় মাস্ক ছাড়া বাইরে বেরোলে তারকাদের ক্ষেত্রে ছাড় নাকি! প্রশ্ন তো রয়েই যায়।