দেশের এক কোটিরও বেশি কেন্দ্রীয় কর্মচারী ও পেনশনভোগী অষ্টম বেতন কমিশন গঠনের অপেক্ষায় রয়েছেন। কেন্দ্রে নতুন সরকার গঠনের পর ফের একবার আশার আলো দেখা দিয়েছে। এখনও পর্যন্ত যে ধাঁচ রয়েছে, তাতে প্রতি ১০ বছর অন্তর নতুন বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করে থাকে কেন্দ্রীয় সরকার।
ভারতে প্রথম বেতন কমিশন স্থাপিত হয় ১৯৪৬ সালের জানুয়ারি মাসে। সর্বশেষ সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকর হয়েছে ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে। একই সময়ে, ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে অষ্টম বেতন কমিশন কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অষ্টম বেতন কমিশন গঠন ও রূপায়ণের বিষয়ে ভারত সরকার এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেনি। গত বছর ডিসেম্বরে সরকার জানিয়েছিল, অষ্টম বেতন কমিশন গঠনের কোনও পরিকল্পনা নেই। এখন সাধারণ নির্বাচন শেষ হওয়ার পর প্রচন্ড সম্ভাবনা সম্ভাবনা রয়েছে যে সরকার কমিশন গঠনের দিকে কোনো নির্ণায়ক পদক্ষেপ নিতে পারে। একবার বেতন কমিশন গঠন হয়ে গেলে কমিশনের সুপারিশ জমা দিতে সাধারণত ১২-১৮ মাস লেগে যায়। অষ্টম বেতন কমিশন কার্যকর হলে উপকৃত হবেন ৪৯ লক্ষ সরকারি কর্মী এবং ৬৮ লক্ষ পেনশনভোগী।
আশা করা হচ্ছে যে অষ্টম বেতন কমিশনের অধীনে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর বৃদ্ধির সাথে বেতনও সংশোধন করা হবে। সরকারি কর্মচারীদের ন্যূনতম বেসিক পে ১৮ হাজার টাকা হওয়ায় ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর বাড়ালে তাঁদের বেসিক পে বেড়ে দাঁড়াবে ২৬ হাজার টাকা। অন্য দিকে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর একটি মূল সূত্র যা অষ্টম বেতন কমিশনের অধীনে কর্মচারীদের বেতন ও বেতন ম্যাট্রিক্স বের করতে সহায়তা করে। অষ্টম বেতন কমিশনের পর সংশোধিত বেতনক্রম এবং অবসরকালীন সুবিধা সহ আরও অনেক সুবিধা পাওয়া যাবে। অষ্টম বেতন কমিশনের সুবিধা ও প্রভাব সরকারি কর্মচারী ছাড়াও সামরিক কর্মী ও পেনশনভোগীদের ক্ষেত্রেও সমানভাবে প্রযোজ্য।