দিল্লিঃ দিল্লি হিংসাকাণ্ডে ব্রিন্দা কারাত, সীতারাম ইয়েচুরি, প্রশান্ত ভূষণ, যোগেন্দ্র যাদবের পর এবার নাম জড়ালো কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা সলমন খুরশিদের। ইতিমধ্যেই সলমন খুরশিদের বিরুদ্ধে দিল্লি হিংসায় উস্কানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগ রয়েছে।
কিছুদিন ধরেই ফেব্রুয়ারিতে রাজধানীর বুকে সংঘটিত হওয়া হিংসাকাণ্ড নিয়ে একাধিক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এর মাঝেই হিংসার তদন্ত করে পুনরায় চার্জশিট দিয়েছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। ১৭,৫০০ পাতার ওই বিশাল নথিতে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে আরো উঠে আসে আরো ১৫ জনের নাম। পুলিশ সূত্রের খবর, ফেব্রুয়ারিতে হওয়া পূর্ব দিল্লির হিংসায় হাঙ্গামাকারীদের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল অভিযুক্তরা।
এমনকি ঝামেলা বাধানোর জন্য দুটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও তৈরি করা হয়েছিল। এমনকি ওই গ্রুপ দিয়ে আবার সেলিমপুর ও জাফরাবাদে হিংসা ছড়িয়েছে। প্ররোচনা প্রসঙ্গে কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা সলমন খুরশিদ এর প্রশ্ন, কি ভাবে প্ররোচনা দিয়েছি, জানতে কৌতূহল হচ্ছে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর পেশ হওয়া চার্জশিটে বলা হয়েছে, উমর খালিদ, সলমন খুরশিদ, নাদিম খান সিএএ-এনআরসি বিরোধী বিক্ষোভে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেন।
নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে হওয়া এই জমায়েত এবং হিংসামূলক ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৫৩ জনের, আহত হয়েছেন প্রায় ২০০ জন। এমনকি কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তিও নষ্ট হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারতে আসায় তাঁর সামনে কালো পতাকা উড়িয়ে প্রতিবাদ জানান সিএএ বিরোধী আন্দোলনকারীরা। শাহিনবাগে উস্কানিমূলক মন্তব্য থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সামনে প্রতিবাদে ইন্ধন দেওয়া একাধিক ঘটনায় অভিযুক্ত হয় উমর। প্রথম থেকেই তার একাধিক কার্যকলাপ নিয়ে সন্দেহ থাকার কারণেই তাকে জেরা করা হয়।