শ্রেয়া চ্যাটার্জি – করোনা ভাইরাস এর জন্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার উদ্দেশ্যে ভারতবর্ষে এখন লকডাউন চলছে। বাড়িতে বসে থাকতে থাকতেই অনেকের বিরক্ত লাগছে। অনেক নারীরাই তাদের কাজের সূত্রে সংসার ফেলে শুধুমাত্র আমাদেরকে রক্ষা করবেন বলে নিজেদের দায়িত্ব কর্তব্য পালন করে চলেছেন। পুলিশ কনস্টেবল চিত্রলেখা, তার এক বছরের বাচ্চাকে সাথে নিয়ে কাজে বেরিয়ে পড়েন। উত্তর প্রদেশের একটি ছোট শহর মেইনপুরীর ২৫ বছরের চিত্রলেখা তার দায়িত্ব পালন করেছেন কোলে তার এক বছরের শিশুকে নিয়ে। তিনি বলেন, “একজন পুলিশ অফিসার হিসাবে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করাটা তার দায়িত্ব।
আর এই রকম অসহায় পরিস্থিতিতে তার সাধারন মানুষের পাশে থাকাটা তো আর ওপর প্রয়োজনীয়। সচেতনতা চারিদিকে ছড়িয়ে দেওয়াই হল তার একমাত্র কাজ।” তবে তিনি আরও বলেছেন, “তার এলাকার মানুষজন তাকে অনেকটাই সহযোগিতা করছেন এবং লকডাউনের নিয়ম কানুন তারা মেনে চলছেন।” চিত্রলেখা কে প্রতিদিন ১২ ঘন্টা কাজ করতে হয়। তাই কোলে তার শিশুকে একটি কাপড়ে জড়িয়ে তিনি তার কাজে বেরিয়ে পড়েন। তিনি বলেন, “আমি তার হাত সারাক্ষণ পরিষ্কার করে দি এবং সাথে করে স্যানিটাইজার রাখি”। সদ্য মা হওয়ার পরে তার কোলের শিশুটিকে নিয়ে প্রতিদিন এই কাজ করাটা মোটেই সহজ কাজ নয়। তবে চিত্রলেখা জানান, “তার এই কাজের মধ্যে দিয়ে তিনি তার শিশুর মধ্যে অজান্তেই দেশপ্রেমের একটা ভাব জাগ্রত করাতে পারছেন”।
পুলিশ বাহিনী, ডাক্তার, অন্যান্য সহকারি কর্মীরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চেষ্টা করে চলেছেন ভারতবর্ষকে কীভাবে করোনার থাবা থেকে বাঁচানো যায়। চিত্রলেখার মত কত নারী রয়েছেন যারা তাদের সংসার সামলে দেশের স্বার্থে নিজেদের কর্তব্যে অবিচল থেকে কাজ করে চলেছেন। তাদের সবাইকে স্যালুট জানাতে হয়। আমরা গোটা ভারতবাসী তরফ থেকে তাদেরকে কুর্নিশ জানাই। নারীরা পারে না এমন কোন কাজ নেই। তারা দশোভূজা হয়ে দশ দিক সামলান। মা দূর্গার সত্যিকারের প্রতিমূর্তি তো এই সমস্ত নারীদের মধ্যেই রয়েছে।