একই ছবি ফিরে এলো প্রায় সড়ে ৭ মাস পর। সাড়ে ৭ মাসের জন্য বন্ধ ছিল লোকাল ট্রেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলার কথা ছিল ট্রেনের। কিন্তু না, বেলা বাড়তেই দেখা গেল সেই চেনা লোকাল ট্রেনের ছবি। সকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলছিল ট্রেন। কিন্তু বেলা বাড়তে না বাড়তেই যেন উধাও হয়ে গেল স্বাস্থ্যবিধি। অফিস টাইমের সেই চেনা দৃশ্য। গাদাগাদি ভিড় নিয়েই চালানো হল ট্রেন।
করোনার জন্য বেশ অনেকদিন বন্ধ থাকার পরে বুধবার ভোর থেকে চালু করা হয়েছে ট্রেন পরিষেবা। সূত্র থেকে জানা গিয়েছে যে, শিয়ালদহ ডিভিশনে চলবে ৪১৩ টি লোকাল ট্রেন এবং অন্যদিকে হাওড়া ডিভিশনে চলতে দেখা যাবে ২০২ টি লোকাল ট্রেনকে। করোনার কথা মাথায় রেখে ভোর রাত থেকেই সব রকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছিল রেল প্রশাসন।
প্রথম দিকে স্বাস্থ্য বিধি মেনেই চলছিল ট্রেন। কোনো যাত্রীকেই দেখা যাচ্ছিল না মাস্ক ছাড়া। এমনকি ট্রেনের ভিতরেও মেনে চলা হচ্ছিল সুরক্ষাবিধি। সুরক্ষাবিধির বিষয়ে নজর রাখতে দেখা যাচ্ছিল রেল পুলিশকে ও। কিন্তু ৮ টার পর পালটে গেল দৃশ্য। অফিস টাইমের শুরুতেই উপচে পড়া ভিড় ট্রেনে। গাদাগাদি ভিড় করে উঠছে মানুষ। মানা হচ্ছেনা দূরত্ববিধি।
এইদিন ভোর থেকেই শিয়ালদহ স্টেশনে দেখা যাচ্ছিল স্বাভাবিকের মতো ভিড়। আজ সকাল থেকেই শিয়ালদহ থেকে চলতে দেখা গেছে নৈহাটি, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট লোকাল। অন্যদিকে পরিষেবা শুরু হয়েছে বারাসাত হাসনাবাদ লাইনেও। ভোরের দিকে টিকিট লাইনেও মানা হচ্ছিল দূরত্ববিধি। পরে সেই বিধিও অনেকটা ঝাপসা হয়ে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
রেল কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে জানান যে প্রতিবার ট্রেন থামলে জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে ট্রেন এবং প্ল্যাটফর্ম। কামরাগুলিতে ও ছড়ানো হয়েছে জীবাণুনাশক। তবে বেলা বাড়তে না বাড়তেই সামলানো যাচ্ছেনা ভিড়। সেই আগের মতো গাদাগাদি ভিড় দেখা গিয়েছে প্রায় সব লোকাল ট্রেনেই।
সোমবার ১১ টা নাগাদ একটি বিশেষ ট্রেন ছাড়া হয়েছিল বর্ধমান থেকে। তাতে ছিল ১,০০০ এর ও বেশি। তা থেকে অনুমান করা গিয়েছিল সাধারণ সময়ে লোকাল ট্রেনের ছবি। অফিসটাইম শুরু হতে না হতেই মিলে গেছে অনুমান।
যাত্রীদের বক্তব্য, ভিড় সামলাতে বাড়াতে হবে ট্রেনের সংখ্যা। ট্রেনের সংখ্যায় না বাড়লে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সম্ভব হবেনা।