SBI Scheme: বাড়িতে বসে প্রতি মাসে রোজগার করুন ২০ হাজার টাকা, SBI নিয়ে এলো নতুন সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম
আপনি যদি স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমে ১৫ লক্ষ টাকা জমা করেন তাহলে আপনি কিন্তু প্রতি তিন মাসে ৬০,১৫০ টাকা করে সুদ পেয়ে যাবেন। স্টেট ব্যাংকের তরফ থেকে এই প্রকল্পটি বিশেষত প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে এবং এই প্রকল্পটি তিন মাসের জন্য ৬০,১৫০ টাকার আমানতের উপরে বার্ষিক ৭.৪ শতাংশ করে সুদ অফার করে থাকে। ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে প্রদেয় সুদ থেকে আপনি খুব সহজেই একটা বড় তহবিল তৈরি করতে পারবেন। চলুন তাহলে এসবিআই সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম এর ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
১. মেয়াদ: এই স্কিমের একটি ৫-বছর মেয়াদ রয়েছে যা অতিরিক্ত ৩-বছরের জন্য পুনর্নবীকরণযোগ্য।
২. সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ বিনিয়োগ: আপনি সর্বনিম্ন ১,০০০ টাকা এবং ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারেন৷
৩. সুদের অর্থ প্রদান: আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট প্রতি ত্রৈমাসিকে সুদের অর্থপ্রদান করে৷
৪. কর সুবিধা: এই স্কিমের অধীনে ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ 80C ধারার অধীনে কর ছাড়ের জন্য যোগ্য।
৫. কর্তন: এই স্কিমে আমানতের উপর ট্যাক্স (টিডিএস) প্রযোজ্য যদি মোট সুদের পরিমাণ ৫০,০০০ টাকা (সাধারণ অ্যাকাউন্টধারীদের জন্য ৪০,০০০ টাকা) অতিক্রম করে।
৬. যোগ্যতা: শুধুমাত্র ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সীরা এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারেন।
এসবিআই সিনিয়র সিটিজেন স্কিম (এসসিএসএস) সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য জানুন
১. বিনিয়োগের মোড: আপনি নগদ, চেক বা অনলাইন স্থানান্তর ব্যবহার করে SBI শাখায় গিয়ে এই স্কিমে টাকা জমা করতে পারেন।
২. সুদের হার: যেহেতু সুদের হার পর্যায়ক্রমে পরিবর্তিত হতে পারে, তাই একটি বিনিয়োগ করার আগে সাম্প্রতিকতম হারগুলি পরীক্ষা করা ভাল।
৩. আবেদন প্রক্রিয়া: আবেদন করার জন্য, আপনাকে ফর্মটি পূরণ করতে হবে, যার জন্য পরিচয় প্রমাণ, বসবাসের প্রমাণ এবং বয়স প্রমাণের প্রয়োজন হবে।
৪. পুনঃঅর্থায়ন: স্কিমের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে, আপনি আপনার আমানত পুনরায় বিনিয়োগ করতে পারেন।
৫. টাকা তোলার নিয়ম: আপনি যদি এক বছরের আগে স্কিম বন্ধ করেন, তাহলে আপনাকে জরিমানা করতে হবে।
৬. অন্যান্য সুবিধা: যেহেতু সরকার এই স্কিমটিকে সমর্থন করে, তাই আমানতের উপর কোন ম্যানেজমেন্ট ফি নেই, এটি একটি নিরাপদ বিনিয়োগের বিকল্প হিসাবে তৈরি করে৷