উত্তরপ্রদেশ সরকার একটি নির্দেশিকায় জনিয়েছে দুটি শিফটে ভাগাভাগি করে ক্লাস করতে হবে, দুটি শিফটে ৫০ শতাংশ করে উপস্থিতি থাকতে হবে এবং সেখানে সামাজিক দূরত্ব রাখাও সম্ভব হবে৷১৯ অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাবে স্কুলের পঠনপাঠন৷ স্কুলে আসা পড়ুয়াদের আনতে হবে করোনার নেগেটিভ টেস্ট রিপোর্ট৷ কিছু দিন আগেই স্কুলে গিয়ে করোনা সংক্রমণের শিকার হয় অন্ধ্রপ্রদেশের এক সরকারি স্কুলের ২৭ পড়ুয়া।
জানা গিয়েছে এরা সবাই উপসর্গহীন। বিজিয়ানগরম জেলা পরিষদ হাইস্কুলের নবম ও দশম শ্রেণির ওইসব পড়ুয়ারা নিজেদের কিছু জিজ্ঞাসা থাকার কারণেই তারা স্কুলে যেত। আর তার মাঝেই এতো জন করোনায় আক্রান্ত হয়। স্কুলের দাবি তারা সব রকম প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছিলো।
এই ঘটনায় স্কুল পড়ুয়াদের বাড়িতে সবাই চিন্তিত হয়ে পড়েন। এই পরিস্থিতিতে আপাতত স্কুল খুলতে নিষেধ করেন জেলা শাসক এম হরি জওহরলাল। জানা গিয়েছে যেসব পড়ুয়া করোনা সংক্রমিত হয়েছে তার বিভিন্ন গ্রামের। এরা সংক্রমিত হয়ে পড়াতে এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের বেশ কিছু কলেজেই এর মধ্যেই ক্লাসও শুরু হয়ে গিয়েছে তবে তাতে বিধিনিষেধ পালন করা হচ্ছে৷ অন্য দিকে কলেজ ম্যানেজার ভিপি সিং বলছেন যে, অনেক দিন ক্লাস করতে পারেননি ছাত্রছাত্রীরা৷ তার ফলে পড়াশুনায় অনেকটা পিছিয়ে গিয়েছে তবে স্বাস্থ্যের ওপর গুরুত্ব দেওয়া বেশি জরুরি। আনলক-৫ এ নয়া গাইডলাইন অনুযায়ী ১৫ অক্টোবরের পর থেকে ধাপে ধাপে স্কুল-কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা যেতে পারে বলে জানানো হয়েছিল৷ করোনার মধ্যে কীভাবে স্কুল চলবে সেই সংক্রান্ত এসওপি জারি করে দিল শিক্ষামন্ত্রক।