গোটা বিশ্বের মধ্যে ভারতের রেল নেটওয়ার্ক চতুর্থ বৃহত্তম। দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাওয়ার জন্য সবচেয়ে সাধ্যের মধ্যে খরচ করে যেই মাধ্যমে যাওয়া যায় তা হল রেল। এই ভারতীয় রেলওয়ের উন্নতির জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে রেলমন্ত্রক। এই ভারতীয় রেলওয়ে সাধারণ মানুষের পাশাপশি অনেক স্পেশাল কেসে নতুন নতুন সুবিধা আনে। এই প্রসঙ্গে জানেন না ৯৯% মানুষ। বিশেষ করে ভারতীয় রেলওয়ে প্রবীণ নাগরিক, প্রতিবন্ধী, গর্ভবতী মহিলাদের অনেক অতিরিক্ত সুবিধা দিয়ে থাকে। করোনার আগে সিনিয়র সিটিজেনদের টিকিটে বিশেষ ছাড় দেওয়া হত। তারপর থেকে এই সুবিধা বহুদিন বন্ধ রয়েছে। সংসদের একটি কমিটি রেল মন্ত্রককে ট্রেন ভ্রমণের সময় প্রবীণ নাগরিকদের দেওয়া এই কনসেশন ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছে।
আপনাদের জানিয়ে রাখি, ভারতীয় রেলওয়ে ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী পুরুষদের ভাড়ায় ৪০ শতাংশ ছাড় দিত। মহিলাদের জন্য এর সর্বনিম্ন বয়স ৫৮ বছর। অর্থাৎ ৫৮ বছরের বেশি বয়সী নারীদের ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হত। মেল, এক্সপ্রেস, রাজধানী, শতাব্দী, দুরন্ত গ্রুপ ট্রেনের সমস্ত ক্লাসের জন্য এই ছাড় দেওয়া হত। কোভিড-১৯ মহামারী ছড়িয়ে পড়ার সময় ২০ মার্চ এই কনসেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
সম্প্রতি ভারতের লোকসভার বাদলকালীন অধিবেশনে, কিছু সদস্য ট্রেনে সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য টিকিট ছাড় এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির দাবি তুলেছেন। জনতা দল (ইউনিয়ন)-এর সদস্য রাধামোহন সিং বলেছেন যে করোনা মহামারির আগে, সিনিয়র সিটিজেনদের ট্রেনের ভাড়ায় ছাড় ছিল, কিন্তু তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন যে মহামারি শেষ হয়ে গেছে, কিন্তু সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য ভাড়ায় ছাড় এখনও শুরু হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করেছেন যে সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য ট্রেনের ভাড়ায় আগের মতো ছাড় দেওয়া হোক।