খুশির খবর সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য, এখন 1 লক্ষ টাকার FD-তে 26000 টাকা সুদ
ফিক্সড ডিপোজিটে অর্থ বিনিয়োগের একটি নিরাপদ এবং স্থিতিশীল উপায়
বর্তমানে বিনিয়োগের অনেক বিকল্প থাকলেও, সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য ফিক্সড ডিপোজিট (FD) এখনও জনপ্রিয়। ঝুঁকি এড়িয়ে স্থিতিশীল রিটার্ন পেতে তারা এফডি পছন্দ করেন। আসলে উচ্চ রিটার্ন পেতে আপনি সরকারি স্কিম ছাড়াও আপনি FD স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারেন। FD-তে সুদের হার বিভিন্ন হারে ব্যাঙ্কগুলি প্রদান করে। গত এক বছরে RBI রেপো রেট ২৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছে। এরপর ব্যাংকগুলোও দ্রুত সুদের হার বাড়িয়েছে। এই প্রতিবেদনে, আমরা ৩ বছরের এফডিতে সর্বোচ্চ সুদের হার অফার করে এমন কিছু ব্যাংকের নাম তুলে ধরছি। আপনি ৩ বছরের জন্য ১ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে এইসব জায়গা থেকে ২৬,০০০ টাকা পর্যন্ত সুদ পেতে পারেন।
১) Bank of Baroda:
বর্তমানে এফডিতে সর্বোচ্চ সুদের হার দিচ্ছে Bank of Baroda। এই ব্যাঙ্ক সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য ৩ বছরের FD তে বিনিয়োগের জন্য ৭.৭৫% সুদ দিচ্ছে। সেইহিসাবে ১ লাখ টাকার FD করলে ৩ বছর বাদে আপনি ১.২৬ লাখ টাকা পাবেন। অর্থাৎ সুদ হিসাবে পাবেন ২৬,০০০ টাকা।
২) Axis Bank:
Axis Bank ৩ বছরের FD তে বিনিয়োগের জন্য প্রবীণ নাগরিকদের ৭.৬০% হারে সুদ দিচ্ছে। সেক্ষেত্রে ১ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে ৩ বছর বাদে আপনি পাবেন ১.২৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ আপনি সুদ হিসাবে পাচ্ছেন ২৫ হাজার টাকা।
৩) HDFC Bank:
বর্তমানে সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য ৩ বছরে FD তে HDFC ব্যাঙ্ক সুদ দিচ্ছে ৭.৫০%। এখানেও Axis ব্যাঙ্কের মত ১ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে ৩ বছর বাদে আপনি পাবেন ১.২৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ আপনি সুদ হিসাবে পাচ্ছেন ২৫ হাজার টাকা।
৪) Cananra Bank:
কানারা ব্যাঙ্ক প্রবীণ নাগরিকদের তিন বছরের স্থায়ী আমানতের উপর ৭.৩০ শতাংশ সুদ দেয়। এখন বিনিয়োগ করা ১ লাখ টাকার পরিমাণ তিন বছরে বেড়ে দাঁড়াবে ১.২৪ লাখ টাকা।
৫) State Bank of India:
স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (SBI) প্রবীণ নাগরিকদের তিন বছরের স্থায়ী আমানতের উপর ৭.২৫ শতাংশ সুদ দিচ্ছে। এখন বিনিয়োগ করা ১ লাখ টাকার পরিমাণ তিন বছরে বেড়ে দাঁড়াবে ১.২৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ সুদ হিসাবে আপনি পাচ্ছেন ২৪,০০০ টাকা।
ফিক্সড ডিপোজিটে অর্থ বিনিয়োগের একটি নিরাপদ এবং স্থিতিশীল উপায়। তবে, বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এর সুবিধা এবং অসুবিধাগুলি বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। কয়েকটি অসুবিধা হল:
১. স্থির সুদের হার:
FD-তে সুদের হার স্থির থাকে, যা বাজারের পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেয় না। দীর্ঘমেয়াদী FD-তে সুদের হার কম হতে পারে, যা মুদ্রাস্ফীতির সাথে তাল মিলিয়ে নাও যেতে পারে।
২. লক-ইন সময়কাল:
FD-তে অর্থ বিনিয়োগের সময় একটি নির্দিষ্ট সময়কালের জন্য লক করা থাকে। এই সময়কালের আগে অর্থ তোলা সম্ভব নয়, এবং তা করলে জরিমানা দিতে হয়।
৩. কর:
FD-এর উপর প্রাপ্ত সুদের উপর কর প্রযোজ্য। উচ্চ আয়ের ব্যক্তিদের জন্য করের হার বেশি হতে পারে।
৪. মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকি:
যদি মুদ্রাস্ফীতির হার FD-র সুদের হারের চেয়ে বেশি হয়, তাহলে বিনিয়োগের বাস্তব মূল্য হ্রাস পাবে।
৫. তরলতার অভাব:
FD-তে অর্থ বিনিয়োগ তরল নয়, কারণ লক-ইন সময়কালের আগে অর্থ তোলা সম্ভব নয়। জরুরী পরিস্থিতিতে তহবিলের প্রয়োজন হলে তা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।