Shane Warne: ‘করোনা টিকার’ কারণেই মৃত্যু হয়েছে শেন ওয়ার্নের! দাবি স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের
আমরা আপনাদের জানিয়ে রাখি, করোনার যে ভ্যাকসিনটি হৃদরোগের মাত্রা বাড়িয়েছে সেটি কোনভাবেই ভারতে ব্যবহার করা হয়নি।
গত বছর ৪ মার্চ শুক্রবার ক্রিকেট জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্রের হঠাৎ পতনে বাকরুদ্ধ হয়েছিল ক্রিকেট বিশ্ব। চির নিদ্রার জগতে চলে গিয়েছিলেন স্পিনের জাদুকর শেন ওয়ার্ন। ৫২ বছর বয়সী শেন ওয়ার্নের নিজের সংস্থার তরফে কিংবদন্তি অজি লেগ স্পিনারের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছিল। সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ওয়ার্ন। মৃত্যুকালে তিনি থাইল্যান্ডে তার নিজের ভিলায় ছিলেন বলেও জানা গিয়েছিল। ওয়ার্নের এজেন্সির তরফে এই বিষয়ে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘শেন ওয়ার্নকে উনার বাংলোয় নিষ্প্রাণ অবস্থায় পাওয়া যায়। মেডিকেল দল নিজেদের পুরো চেষ্টা করেও তাঁকে আর ফেরাতে পারেনি।’ তবে ঠিক কি কারনে বিশ্ব বিখ্যাত এই ক্রিকেটারের চরম পরিণতি ঘটেছিল সে সম্পর্কে সঠিক কোন তথ্য প্রকাশ্যে আসেনি।
এক বছর পর অবশেষে প্রকাশ্যে এলো তার মৃত্যুর আসল কারণ। বিশেষ এক তদন্তে জানা গিয়েছে, মূলত করোনার টিকা গ্রহণের কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন কিংবদন্তি এই ক্রিকেটার।
ব্রিটেনের ভারতীয় বংশোদ্ভূত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অসীম মলহোত্রা এবং অস্ট্রেলিয়ার চিকিৎসক তথা মেডিক্যাল প্রফেশনালস সোসাইটির প্রেসিডেন্ট ক্রিস নীল এদিন এমনটাই দাবি করেছেন। অবশ্য এর পেছনে বিশেষ যুক্তিও দিয়েছেন দুই গবেষক।
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ এই দুই ডাক্তার তাদের গবেষণার মাধ্যমে উপলব্ধি করেছেন, করোনার এমআরএনএ (Covid-19 mRNA vaccine) টিকার ফলে হৃদপিণ্ডের সমস্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এই টিকা ব্যবহার করা হয়েছিল শেন ওয়ার্নের শরীরেও। গবেষণায় দুই চিকিৎসক দেখেছেন, ‘যাদের বাইরে থেকে দেখে হৃদরোগের কোন কারণ অনুভব করা যায় না, তাদের ওপরে প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম করোনার এমআরএনএ টিকা। অল্প বিস্তর হার্টের অসুখ থাকলেও সেটিকে বাড়িয়ে দিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে এই টিকা।’
দুই চিকিৎসক তাদের গবেষণার মাধ্যমে আরও জানিয়েছেন,’যাদের কখনো হার্টের সমস্যা দেখা যায়নি, এই টিকা গ্রহণের পর সেই সমস্যা ঝুঁকির মাত্রা পার করেছে।’ ডা: অসীম মলহোত্রা আরও বলেন, ‘যদিও বিগত কয়েক বছর ধরে শেন ওয়ার্নের জীবনযাপন রুটিন মাফিক ছিল না। তামাকজাত দ্রব্যের সাথে নিজেকে বিশেষ ভাবে জড়িয়ে ফেলেছিলেন তিনি। ফলে করোনা টিকা করনের পর খুব শীঘ্রই হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি।’
এই নিবন্ধে আমরা আপনাদের জানিয়ে রাখি, করোনার যে ভ্যাকসিনটি হৃদরোগের মাত্রা বাড়িয়েছে সেটি কোনভাবেই ভারতে ব্যবহার করা হয়নি। ভারতে মূলত যে দুটি করোনা টিকা প্রদান করা হয়েছে সেগুলি অ্যাস্ট্রোজেনেকা ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের (কোভিশিল্ড) এবং ভারত বায়োটেকের (কোভ্যাক্সিন) তৈরি। যা কোনভাবেই হৃদরোগ প্রভাবিত করে না।