কৌশিক পোল্ল্যে: 1990 সালের 17 ই জানুয়ারি কাশ্মীরি হিন্দু পন্ডিতদের উপর হওয়া ইসলামের বর্বরচিত অত্যাচারের গল্প বলে এই কাহিনী। সে সময়ের সাম্প্রদায়িক বাতাবরনে সামাজিক ঘটনাবলীর প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হয়েছে এই ছবিতে। এগারো বছর ধরে নির্মিত হওয়া এই ছবির নাম ‘শিকারা- দ্য আনটোল্ড স্টোরি অফ কাশ্মীরি পন্ডিত্স’। ছবির ট্রেলার রিলিজের পরপরই বেশ উত্তেজনার ঝড় তোলে এই ছবি। ‘সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা সৃষ্টি করেছে এই ছবি’, ‘একটি ধর্মকে বড় করে দেখিয়ে আর একটি ধর্মকে ছোট করা দেখানো হচ্ছে’ , ‘বয়কট শিকারা’ ইত্যাদি নানারকম বিতর্কমূলক পোস্ট সোশালের দেওয়ালে ঘুরতে থাকে।
অবশেষে এবছরের 7ই ফেব্রুয়ারি ছবিটি মুক্তি পায়। একটি প্রেমের গল্পের আদলে পুরো ঘটনার বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। গল্পে দেখানো হচ্ছে শিব ও শান্তি কাশ্মীরের বাসিন্দা। 1990 এর কাশ্মীরি দাঙ্গায় ঘরছাড়া হয়ে নিজের দেশেই শরনার্থীদের মতো অতিকষ্টে জীবন অতিবাহিত করতে হয়েছে তাদের। যেভাবে মুসলমানরা রাতারাতি এখানকার উচ্চবর্নের হিন্দু পন্ডিতদের ঘরছাড়া করতে বাধ্য করেন, তাদের ঘরবাড়ি আগুনে পুড়িয়ে ধুলিসাৎ করে দেন এবং বাড়ির মেয়েদের উপর অত্যাচার চালান সেই সমস্ত ঘটনার সাক্ষী এই ছবিটি।
আরও পড়ুন : প্রেমের মরশুমে অর্জুন-মধুমিতার রোমান্টিক ছবি, ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়
মোদি-শাহের হিন্দুরাজত্বে সগর্বে এই সত্য ঘটনার উপর নির্মিত ছবিটি মুক্তি পায়। কাশ্মীরের বহু মানুষ সহ অনেকেই হলে বসে শুধু কেঁদেছেন এই ছবি দেখে। তাদের বক্তব্য, ‘এ যেন এক জীবন্ত দলিল। হাজার হাজার হিন্দুর হত্যালীলার এই কালো ইতিহাস ভোলার নয়।’ ছবি রিলিজের পরমুহূর্তেই সাম্প্রদায়িক বাগবিতন্ডা বেঁধে যায়। কট্টরপন্থী মুসলিমরা ছবির ঘোর সমালোচনা করে জানান, “ধর্মনিরপেক্ষ একটি রাষ্ট্রে এরকম ধর্মভিত্তিক সিনেমা তৈরি হওয়া অত্যন্ত লজ্জাজনক এবং যুক্তিহীন। ধর্মের ভেদাভেদ স্পষ্ট করে দেখানো হয়েছে ছবিতে যা একেবারেই অনুচিত, তাই অবিলম্বে এই ছবি বয়কট করা হোক।”
যদিও ফিল্ম নির্মিতাদের দাবী, তারা একটি সত্য ঘটনা সঠিকভাবে তুলে ধরেছেন। ধর্মের দোহাই দিয়ে সত্যকে লুকিয়ে রাখা যায় না। আদিল খান ও সাদিয়া অভিনীত ছবি ‘শিকারা’ চরম বিতর্কের সৃষ্টি করলেও মোদী রাজত্বে জয় হবে কার? শিকারা নাকি ইসলাম? ছবির রোমহর্ষক ও দুর্দান্ত ট্রেলারটি একঝলক দেখবেন নাকি? নীচে রইল আপনারই জন্য।