মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল ২১ অক্টোবর এবং ফল প্রকাশ হয়েছিল ২৪ অক্টোবর। এই নির্বাচনে বিজেপি-শিবসেনা জোট জয়লাভ করে। আজ ১৫ ই নভেম্বর অর্থাৎ মহারাষ্ট্রের ভোটের ফলাফল প্রকাশ ২০ দিন আগে হয়েছে, কিন্তু এখন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে কোন দল বসবে তা নিয়ে এখনও দ্বন্দ্ব লেগে রয়েছে দুই দলের মধ্যে। এই নিয়ে শিবসেনার মুখ্য নেতা সঞ্জয় রাউত, বিজেপি ও শিবসেনার মধ্যাকার গোপন তথ্য ফাঁস করলেন।
শিবসেনার মূখ্য নেতা সঞ্জয় রাউত বলেন ভোটের আগে উদ্ধভ ঠাকরের সাথে বিজেপির শীর্ষ নেতাদের সাথে এক গোপন কক্ষে মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে আলোচনা হয়। এবং সেখানে বিজেপির শীর্ষ নেতারা বলেন পাঁচ বছরের শাসনকালকে দুভাগে ভাগ করবে তারা, যেখানে আড়াই বছর বিজেপি ও আড়াই বছর শিবসেনা মহারাষ্ট্রে শাসন চালাবে। কিন্তু অমিত শাহ বলেন আমরা কোনো আলোচনা গোপন কক্ষে করিনা, আমরা যা আলোচনা করি তা সকলের সামনে করি। এবং তিনি আরও বলেন শিবসেনার সাথে আমাদের কোনোদিন আড়াই বছরের শাসনকার্য চালানো নিয়ে কথা হয়নি। এই নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
এই জল্পনার কারনেই এখন বিজেপির সাথে জোট ভেঙে কংগ্রেস ও এনসিপি এর সাথে জোট করার পরিকল্পনা নিচ্ছেন উদ্ধব ঠাকরে। জোট নিয়ে উদ্ধব ঠাকরে মুম্বাইয়ের এক হোটেলে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের সাথে বৈঠকও করেছেন।
মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপি দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে মুখ্যমন্ত্রী পদ দিতে গেলে শিবসেনা উদ্ধব ঠাকরে কে মুখ্যমন্ত্রী করার কথা বলে, যা নিয়ে শুরু হয়েছিল বিতর্ক। এই বিতর্কের জেরেই বিজেপির সাথে জোট ভেঙে কংগ্রেস ও এনসিপির সাথে জোট গঠন করতে যাচ্ছে শিবসেনা। এই নিয়ে এনসিপির শীর্ষ নেতারা জানান তিনটি পার্টি যদি একত্রে মিলিত হয় তবে কেউ আমাদের থামাতে পারবেনা, এমনকি এনসিপির নেতা অজিত পাওয়ার বলেন নতুন বছরের আগে নতুন সরকার গঠন হবে। এবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদ কোনদিকে যাবে তা দেখার বিষয়।