আংশিক লকডাউনের পথে রাজ্য! বন্ধ শপিং মল, জিম, রেস্তোরাঁ

এবারে হয়তো ধীরে ধীরে লকডাউন এর পথে হাঁটতে শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গ। তার প্রথম ঝলক শুরু হয়ে গেল শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই বাংলায় সমস্ত রেস্তোরাঁ, বার, শপিংমল, সিনেমাহল অনির্দিষ্টকালের…

Avatar

By

এবারে হয়তো ধীরে ধীরে লকডাউন এর পথে হাঁটতে শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গ। তার প্রথম ঝলক শুরু হয়ে গেল শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই বাংলায় সমস্ত রেস্তোরাঁ, বার, শপিংমল, সিনেমাহল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল। এছাড়াও আগামী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত সমস্ত বাজার হাট দিনে সর্বাধিক ৫ ঘণ্টা খুলে রাখার নির্দেশ দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

এর সময়টিও বেঁধে দেওয়া হয়েছে বইকি। সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কলকাতার সবকটি বাজার দোকান সকাল ৭টা থেকে বেলা ১০ টা অবধি খোলা থাকবে। তারপর আবার বিকেল ৩টে থেকে বিকেল ৫টা অবধি খোলা থাকবে সব দোকান। তবে মুদির দোকান এবং ওষুধের দোকানের ক্ষেত্রে ছাড় রয়েছে। বাংলায় বর্তমানে দ্রুতহারে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। তাই এই মুহূর্তে চেন ব্রেক করা অত্যন্ত প্রয়োজন হয়ে উঠেছে। এই চেন ব্রেক করার জন্য সবার আগে যেটা দরকার সেটা হল লকডাউন অথবা আংশিক লকডাউন।

আংশিক লকডাউনের পথে রাজ্য! বন্ধ শপিং মল, জিম, রেস্তোরাঁ

অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন অষ্টম দফা ভোট শেষ হয়ে যাওয়ার পর এই রাজ্যে আংশিক লকডাউন ডাকা হতে পারে। আর হলো ঠিক তাই। অষ্টম দফা নির্বাচনের শেষ হবার ঠিক পরের দিন আংশিক লকডাউন এর পথে হাঁটল কলকাতা।

গতকাল নবান্ন তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল পুরসভা এলাকায় দোকান বাজার খোলার জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় স্থির করে দেওয়া হবে। শুক্রবার দক্ষিণ দমদম পৌরসভার ৩দিন দোকান বাজার বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করে দিয়েছে। কিন্তু দক্ষিণ দমদম পৌরসভা ঠিক পরেই এবারে খোদ নবান্নের তরফ থেকে এহেন ঘোষণা করা হলো। স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিসংখ্যান থেকে জানা যাচ্ছে প্রতিদিন বহু মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন। কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি। এছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং হাওড়া জেলাতে সংক্রমনের সংখ্যা যথেষ্ট বেশি।