পয়লা বৈশাখের এক অন্য চিত্র দেখা দিলো দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরে। অন্যান্য বছরের থেকে একদম আলাদা আজকের এই ছবি। এই প্রথম নববর্ষের দিনে পুরোপুরি শুনশান মায়ের মন্দির। ভিড় নেই কোনো পূর্ণার্থীর। দেখা নেই দোকানদারদের। আজকের দিনে যেখানে দাঁড়ানোর জায়গা পাওয়া যায়না, সেখানেই আজ পুরো ফাঁকা, ধু ধু করছে মন্দির প্রাঙ্গন। মন্দিরের গেটে ঝুলছে তালা।
প্রতি বছর আজকের দিনে ভিড় করেন হাজার হাজার মানুষ। এত ভক্তদের সামাল দিতে কার্যত হিমশিম খায় মন্দিরের নিরাপত্তা কর্মীরা। তারই সাথে দোকানদারদের আজ অন্যদিনের থেকে কেনাবেচাও ভালোই হয়। কিন্তু এবছরের চিত্রে বিস্তর ফারাক। লাভের বদলে লোকসানের সম্মুখীন হয়েছেন দোকানদাররা। আজকের দিনে নববর্ষের পুজো দিতে আসেন দেশের বিভিন্ন জায়গার ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এবার নেই কোনো পুজো।
মন্দিরের ভিতরে প্রতিদিন চলছে মায়ের নিত্য পুজো। সেখানে বাইরের ভক্তদের স্থান নেই। মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির। ১৮৫৫ সালে তৈরী হওয়া মায়ের মন্দিরে এই প্রথম তালা বন্ধ করা হল। নববর্ষের পুজো ও নেওয়া হল না ভক্তদের থেকে।
মারণ করোনা ভাইরাসের জন্যই এই অবস্থা দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের। শুধু এই মন্দির নয়, বন্ধ রয়েছে দেশের বিভিন্ন জায়গার মন্দির। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে এই মন্দিরগুলি। সরকারের নির্দেশ মত কোনোরকম জমায়েত করা চলবে না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাই এই মারণ ভাইরাসের প্রকোপ থেকে রক্ষা পাবার মূল মন্ত্র।