বলিউডবিনোদন

বড় ঝগড়া বচ্চন পরিবারে, বচ্চন সাহেবের মেয়ের সাথে নাতনির লড়াইয়ের খবর এল সামনে

Advertisement

বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে অমিতাভ বচ্চন নামটাই যথেষ্ট। বর্তমানে অভিনেতাকে ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম লিভিং লেগেন্ড হিসেবে ধরা হয়। ৭৯ বছর বয়সেও রীতিমতো বড়পর্দা কাঁপাচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি তার অভিনীত ‘ঝুন্ড’ মুক্তি পেয়েছে, যা ইতিমধ্যেই শোরগোল ফেলেছে দর্শকদের পাশাপাশি বলিউডের অন্দরে। অভিনেতার অভিনীত সেরা ছবিগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম বলে মনে করা হচ্ছে। সকলের কাছেই বচ্চন পরিবারের একটা আলাদা জায়গা রয়েছে। তবে সম্প্রতি সেই বচ্চন পরিবারের অন্দরের কলহের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে মিডিয়াতে।

বচ্চন সাহেবের দুই সন্তান অভিষেক বচ্চন ও শ্বেতা বচ্চন নন্দা। অমিতাভ ও জয়া বচ্চনের মেয়ে শ্বেতা বচ্চন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন নিখিল নন্দার সাথে। তাদের দুটি সন্তান, নভ্যা ও অগস্ত্য। তবে সম্প্রতি মা ও মেয়ের কলহের কথা প্রকাশ্যে এসেছে। গত মাসে অমিতাভ বচ্চনের নাতনি নভ্যার এক সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে সেই প্রসঙ্গ উঠে এসেছে সকলের সামনে।

সেই সাক্ষাৎকারে নভ্যা জানিয়েছেন, বাড়িতে যেকোন অতিথি এলে তাকেই সবসময় এগিয়ে দেওয়া হয়। অনেকসময় এটা-ওটা এনে দেওয়ার কথাও বলা হয় তাকে। তবে তার ভাই অগস্ত্য কিংবা পরিবারের অন্য ছেলেদের এই সমস্ত জিনিস শেখানো হয় না। এই বিষয়টা নিয়েই তার সাথে তার মায়ের বিবাদ লেগেই থাকে।

নভ্যার মতে, শুধুমাত্র মেয়েরাই কেন এই ধরনের বিষয়গুলো শিখবে! যদি শিখতে হয় তাহলে সকলেরই শেখা উচিৎ। তার কথায়, এমন ধরনের চিন্তাভাবনার জন্যই আজও সমাজে মেয়েরা পিছিয়ে রয়েছে ছেলেদের থেকে। তবে নভ্যার এই বিবৃতিকে সমর্থন জানিয়েছেন অনেক মহিলারাই। তবে এমন অনেকেই রয়েছেন যারা এই বিষয়টিকে বচ্চন পরিবারের স্ক্যান্ডেল হিসেবে দেখছেন। তবে বলাই বাহুল্য, এই দৃষ্টিকোণ থেকে এই বিষয়টিকে না দেখাই শ্রেয়।

এই প্রসঙ্গে শ্বেতা সাংবাদিক বরখা দত্তকে জানিয়েছেন, বাড়িতে অতিথি এলে তিনিই সবটা সামলে নেন। তার ছেলে-মেয়ে ভালো বাচ্চা হয়ে বসে থাকে একদিকে। তিনি জানান, তিনি এবং তার ছেলে দুজনেই নভ্যাকে প্রশ্ন করেছিলেন সে এমন কথা কিভাবে বলল! তবে এই প্রসঙ্গে নভ্যা বলেন, তাদের মা তাদের দুই ভাই-বোনকে একইভাবে মানুষ করেন। তিনি চান যাতে তারা ঘরের যেকোনো কাজে সাহায্য করতে পারে এবং নিজের জন্য শিখে নিতে পারে। আর এই নিয়েই বিবাদ মা-মেয়ের, যা সম্প্রতি মিডিয়ার মাধ্যমে উঠে এসেছে প্রকাশ্যে।

Related Articles

Back to top button