প্রায় শিলিগুড়ি থেকেই একেবারে রোপওয়ে করে পাহাড়ে যাওয়ার সুযোগ মিলবে খুব শীঘ্রই। গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সৌজন্যে এবার সমতল থেকে সোজা পাহাড়ে যাওয়ার সুযোগ মিলবে রোপওয়ের মাধ্যমে। খুব শীঘ্রই এই নতুন রোপওয়ে চালু হয়ে যাবে। এর প্রক্রিয়াও ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। এই রোপওয়ে চালু হলে শিলিগুড়ির গোড়াতেই পর্যটকদের আনাগোনা বাড়বে বলে মনে করছে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। এবং শিলিগুড়িতে উন্মোচিত হবে পর্যটন সার্কিটের একটি নতুন দিক।
শিলিগুড়ির উপকণ্ঠ রোহিণী এলাকা থেকে কার্শিয়াং পর্যন্ত এই রোপওয়ে চলবে বলে জানানো হয়েছে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের তরফ থেকে। রোহিণী টুরিস্ট কমপ্লেক্স থেকে কার্শিয়াং এর গিদ্দাপাহাড় পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার পথ রোপওয়ের মাধ্যমে যাওয়া যাবে। জিটিএ পর্যটন বিভাগ ইতিমধ্যেই এই নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে। জিটিএ তরফ থেকে একাধিক সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে এবং আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে সমস্ত কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। সম্ভাবনা রয়েছে ২০২৪ এর পুজোর মৌসুম এর আগে পর্যটকদের জন্য চালু হয়ে যাবে এই রোপওয়ে।
একে তো পর্যটনের নতুন দিশা তৈরি হবে এবং অন্যদিকে খুব কম সময়ের মধ্যে শিলিগুড়ি থেকে কার্শিয়াং পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়া যাবে। এমনিতে শিলিগুড়ি থেকে কার্শিয়াং পর্যন্ত সড়কপথে যেতে এক ঘন্টা সময় লাগে। টয় ট্রেনে এই রাস্তা যেতে তিন ঘন্টা মতো সময় লেগে যায়। তবে যদি এই রোপ ওয়ে চালু হয়ে যায় তাহলে মাত্র আধ ঘণ্টার মধ্যেই কার্শিয়াং পৌঁছে যাওয়া যাবে। এতে কার্শিয়াং মোটর স্ট্যান্ডের গুরুত্ব অনেকটা বেড়ে যাবে। অনেকে রোহিনী থেকে রোপওয়ে করে কার্শিয়াং পৌঁছে সেখান থেকে টয় ট্রেন বা গাড়ি করে দার্জিলিং যেতে পারবেন। ফলে একটি বিকল্প যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি হয়ে গেল এই জায়গায়। এছাড়াও রোহিনীতে থাকার জন্য হোটেল এবং হোম স্টে তৈরি করা হবে।
এমনিতেই বিগত কিছু বছর ধরে রোহিনি লেক পর্যটক আকর্ষণের একটি কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই লেকের উপরে শিকারা ভ্রমণ অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি বিষয় হয়ে উঠেছে ইদানিং কালে। বাইরের পর্যটকদের পাশাপাশি শিলিগুড়ি এবং আশেপাশের লোকজন দিনভর দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন এই লেকে। ফলে রোহিনীর গুরুত্ব বেড়েছে পাহাড়ের মানচিত্রে। যদিও কার্শিয়াং এর এই রোপওয়ের ব্যাপারে অনেক আগেই পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু মাঝে পাহাড়ে অশান্তি শুরু হওয়ার কারণে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। অবশেষে ফের এই রোপওয়ে তৈরির কাজ শুরু হয়েছে এবং মনে করা হচ্ছে এবার আর এই কাজ বন্ধ হবে না।