একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল বিজেপি দ্বন্দ্বে সরগরম হয়ে উঠেছে গোটা বঙ্গ রাজনীতি। অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের লড়াইয়ে খবরের শিরোনামে রয়েছে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র। এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূল দলত্যাগী নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এরইমধ্যে গতকাল রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের এগরার জনসভায় গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর পিতা শিশির অধিকারী গেরুয়া শিবিরে যোগদান করেন। গেরুয়া শিবিরে যোগদান করেই আজ অর্থাৎ সোমবার থেকে শিশির অধিকারী বিজেপির হয়ে প্রচার করতে মাঠে নেমে পড়েছেন।
আজ অর্থাৎ সোমবার বিজেপির হয়ে প্রচারে নেমে প্রথমেই শিশির অধিকারী তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে তোপ দেগেছেন। তিনি প্রথমেই মমতার নন্দীগ্রামে চোট পাওয়া প্রসঙ্গকে “নাটক” বলে কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেছেন, “শুভেন্দু তো নন্দীগ্রামের ছিল। উনি তো এখন নতুন এসেছেন। ভোটের লড়াই হবে। তখন দেখা যাবে কে কত মায়ের দুধ খেয়েছে। উনি নাটক ছাড়া ভোট জিততে পারবেন না। উনি এসব জেনে নাটক করছেন। অবশ্য উনার নাটক বাংলার মানুষ ঠিক বুঝতে পেরেছেন।”
এছাড়াও এদিন বক্তৃতা দিতে গিয়ে শিশির অধিকারী নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর গুরুত্ব বুঝিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “নন্দীগ্রাম আন্দোলন কে করেছিল সেটা এলাকার মানুষ জানে। শুভেন্দুর ভূমিকা কতটা তা বাইরের কোন লোককে বলতে হবে। একটা উদাহরন দিলে স্পষ্ট হবে। আন্দোলনের পর ৪০ টি মুসলমান পরিবারের সন্তান জন্ম নিয়েছিল। তাদের সবার নাম শুভেন্দু। এবার আপনারা বুঝে নিন শুভেন্দু নন্দীগ্রামের জন্য কি করেছে।” সেই সাথে তিনি বিজেপি যোগের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেছেন, “শেষ দশ বছরে অপাত্রে ভোট দিয়েছি আমরা। কোন লাভ হয়নি। এখনো বেকাররা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়। তাই এবার ভরসা করেছি এশিয়ার বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের উপর। বিজেপির সঙ্গী হয়ে সোনার বাংলা তৈরি করব।”