“আমি কি ছেলের বিরুদ্ধে যাব?”, শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে মন্তব্য শিশির অধিকারীর

একুশে নির্বাচনের আগে শুভেন্দু ইস্যু নিয়ে প্রবল জলঘোলা হয়েছে বঙ্গ রাজনীতি। আজকে তার ভাই সৌমেন্দু অধিকারী (Soumendu Adhikary) তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করে। কিন্তু এবার তৃণমূল শিবিরের অস্বস্তি বাড়িয়ে আজ…

Avatar

একুশে নির্বাচনের আগে শুভেন্দু ইস্যু নিয়ে প্রবল জলঘোলা হয়েছে বঙ্গ রাজনীতি। আজকে তার ভাই সৌমেন্দু অধিকারী (Soumendu Adhikary) তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করে। কিন্তু এবার তৃণমূল শিবিরের অস্বস্তি বাড়িয়ে আজ মন্তব্য করলেন শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikary) বাবা শিশির অধিকারী (Sisir Adhikary)। এতদিন তিনি সমস্ত রাজনৈতিক বিতর্ক এড়িয়ে চলছিলেন। কিন্তু আজকে তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে দলের বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ শিশির অধিকারী। তিনি বলেছেন, “সবাই আমার পরিবারকে বেইমান বলছে বা অনেকে আমাকে মীরজাফর বলছে। এতদিন বাড়ি বসে সমস্ত কথা হজম করে নিচ্ছিলাম। কিন্তু আর না। এবার একুশে নির্বাচনে ইঞ্চি ইঞ্চি তে জবাব পাবে তৃণমূল। জবাব দেবে মেদিনীপুরের মানুষরা।”

কিছুদিন আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন শিশির পুত্র শুভেন্দু অধিকারী। তখন শিশির অধিকারী বলেছিলেন, “আমি দলের জেলা সভাপতি। অন্যদিকে শুভেন্দু রাজ্যস্তরের নেতা। আমি শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারি না।” কিন্তু এরপর আজকের শিশিরবাবুর মন্তব্য শুনে বোঝা গিয়েছে এবার গোটা অধিকারী পরিবার পদ্মফুলে নাম লেখাচ্ছে। শিশিরবাবুর বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা বলে বলেছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আজকে শিশিরবাবু ফিরহাদ হাকিমকে কটাক্ষ করে বলেছেন, “ফিরহাদ হাকিম বলেছে অধিকারী পরিবারটা পুরোটাই মীরজাফর। আমি তো জানতাম মির্জাফর মুসলিম ছিলেন। যদিও ববি খুব ভালো ছেলে। ও ভালো থাকুক। ও আমার পরিবারকে গালি দিলে আমার কিছু যায় আসে না।”

শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই মন্ত্রিসভাকে যায়নি শিশির অধিকারী। সেই নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “শাসকদল চাইছে আমি আমার ছেলের বিরুদ্ধে কথা বলব। কিন্তু সেটা কি কখনো সম্ভব? ছেলের বিরুদ্ধে যাব আমি? আমার ছেলে আমার পরিবারে বড় সম্পদ। আমি আমার পরিবারের বিরুদ্ধে যেতে পারবো না দল যাই বলুক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই এখনো আমার নেত্রী। তার বিরুদ্ধেও আমি কোন কথা বলবো না। তবে আমার পরিবারের অপমানের জবাব ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে দেবে মেদিনীপুরের মানুষেরা।”