নিউজপলিটিক্সরাজ্য

“ছেলে তো বিজেপিতে, তাহলে শিশিরবাবুর আসা সময়ের অপেক্ষা”, জল্পনা উস্কে মন্তব্য মুকুল রায়ের

শিশির অধিকারীর বিজেপিতে যোগদান করা শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছে বঙ্গ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা

Advertisement

আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার সকালে মেদনীপুর অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিছুদিন আগেই তৃণমূল বিদ্রোহী নেতা শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। তাছাড়াও তার ভাই সৌমেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করেন। তারপর তিনি বঙ্গ রাজনীতিতে জল্পনা চলছিল শিশির অধিকারী কি করবেন? তবে আজ সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে শাসকদল শিশির অধিকারীকে দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারিত করেছে। তাহলে এখন প্রশ্ন উঠছে, বাবা শিশির অধিকারী কি ছেলে শুভেন্দু অধিকারীর মত বিজেপিতে যোগদান করবেন?

আজ শিশির অধিকারী অপসারনের প্রসঙ্গে বক্তব্য রেখেছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তিনি আজ বলেছেন, “তৃণমূল হল একটি পারিবারিক রাজনৈতিক দল। তারা তাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সেই নিয়ে আমাদের কিছু না বলাই ভালো।” তাছাড়া শিশির অধিকারী বিজেপিতে আসবি নাকি সেই প্রশ্ন করা হলে মুকুলবাবু জবাব দিয়েছেন, “উনি তো এসেছেন। ওনার ছেলে বিজেপিতে আছে। আর কি চাই! শিশিরের বিজেপিতে যোগদান শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।” এছাড়াও শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করার সময় বলেছিলেন তার গোটা বাড়িতে পদ্মফুল ফুটবে। সেইমতো কিছুদিন বাদে তার ভাই সৌমেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করে। সেইমতো শিশির অধিকারীর বিজেপিতে যোগদান করা শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছে বঙ্গ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

অন্যদিকে আজ কলকাতা শিমলা স্ট্রীটে স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে দাপুটে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেছেন, “তৃণমূলের ধ্বংস শুরু হয়ে গিয়েছে। আর এই ধ্বংস ত্বরান্বিত হচ্ছে তাদের কিছু সিদ্ধান্তের জন্য। আমি মনে করি, বিজেপির দরজা খোলা আছে সবার জন্য। বিজেপিতে যারা আসতে চাইবে তাদের সকলকে স্বাগত জানাই আমরা। কারণ বিজেপি কোন প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি নয়। এটি জনগণের সম্পত্তি। জনগণের দল। তাই জনগণের জন্য সবসময় দ্বার খোলা থাকবে।”

অন্যদিকে শিশির অধিকারীকে পদ থেকে অপসারণ প্রসঙ্গে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, “ছেলের কাজে লজ্জিত শিশিরদা। তাই তিনি অসুস্থ ছিলেন এবং কাজ থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন।” এছাড়াও তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বলেছেন, “শিশিরবাবু বয়স হয়েছে। ওনার ছোটাছুটি করতে খুব অসুবিধা হচ্ছিল। তাই এটা প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত।”এছাড়াও পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেছেন, “দীর্ঘদিন এক পদে থাকার পর তার রদবদল হয়। এটা সংসদীয় গণতন্ত্রের এক প্রথা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় আমার অনেকবার দপ্তর বদল হয়েছে। তানি আমি তো কখনো অপমানিত বোধ করিনি। আর অখিল গিরি তোমার কোন আমেরিকার নয়। ও দলের লোক।”

Related Articles

Back to top button