“খুন হয়নি আনিস, মৃত্যুটা দুর্ঘটনাবশত”, ছাত্রনেতা মৃত্যুর ১৪৪ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা দিল SIT

অবশেষে ছাত্রনেতা আনিস খান মৃত্যু মামলার চার্জশিট পেশ করল সিট। আজ অর্থাৎ সোমবার উলুবেরিয়া আদালতে ঘটনার ১৪৪ দিন পর এই চার্জশিট পেশ করা হয়। চার্জশিটে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে খুন…

Avatar

অবশেষে ছাত্রনেতা আনিস খান মৃত্যু মামলার চার্জশিট পেশ করল সিট। আজ অর্থাৎ সোমবার উলুবেরিয়া আদালতে ঘটনার ১৪৪ দিন পর এই চার্জশিট পেশ করা হয়। চার্জশিটে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে খুন হয়নি আনিস খান। বরং দুর্ঘটনাবশত পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এই চার্জশিটের সাথে ফরেনসিক সাইন্স ল্যাবরেটরি ও সেন্ট্রাল ফরেনসিক সাইন্স ল্যাবরেটরি রিপোর্ট যোগ করা হয়। তবে খুনের অভিযোগ না উঠলেও চার্জশিটে নাম রয়েছে আমতা থানার তৎকালীন ওসি সহ পাঁচ জনের।

চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আনিসের বাড়িতে যে পুলিশ গিয়েছিল তা মূলত সোশ্যাল মিডিয়ার একটি পোস্টের ভিত্তিতে। হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের সোশ্যাল মিডিয়া মনিটারিং সেলের নজরে পড়ে একটি পোস্ট। তাই নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য বাড়িতে যায় একদল পুলিশ। তখনই ওই অঘটনটি ঘটে। ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয় ছাত্রনেতার।

তবে খুনের অভিযোগ খারিজ করা হলেও সেদিন রাতে পুলিশের ভূমিকা ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে সিটের চার্জশিটে। নাম রয়েছে আমতা থানার তৎকালীন ওসি দেবব্রত চক্রবর্তী-সহ ৫ পুলিশকর্মীর নাম। তাদের মধ্যে রয়েছেন একজন এএসআই, একজন হোম গার্ড এবং দুই সিভিক ভলান্টিয়ার। খুনের অভিযোগে মামলা না হলেও, তাদের বিরুদ্ধে ৩০৪ ধারা অর্থাৎ গাফিলতির জেরে মৃত্যুর কথা উল্লেখ রয়েছে। এছাড়াও চার্জশিটে থাকছে ৩৪১ (অবৈধভাবে পথ আটকানো), ৩৪২ (অবৈধভাবে আটকে রাখা), ৪৫২ (জোরপূর্বক বাড়িতে প্রবেশ করে আটকে রাখা) এবং ১২০বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) ধারা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুর পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আন্দোলন শুরু হয়। আনিসের পরিবার চেয়েছিল যাতে তদন্ত সিবিআই এর হাতে যায়। তাদের একটাই দাবি ছিল যে আনিস খানের খুনিদের যথাযথ শাস্তি দিতে হবে। তবে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা আনিসের মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের আর্জি খারিজ করে তদন্তভার সিটের উপরই দিয়েছিলেন।