গ্রিন টির উপকারিতা অজানা নয় বর্তমান প্রজন্মের। এখন ৮ থেকে ৮০ প্রায় সকলেই জানেন গ্রিন টির উপকারিতা। তবে গ্রিন টি স্বাস্থ্যের পাশাপাশি সমানভাবে উপকারি ত্বকের জন্যও। নির্দিষ্ট তিনটি উপায়ে যদি গ্রিন টি ত্বকে প্রয়োগ করা যায় তাহলে, ৪০-এর পরেও তরুণ থাকবে ত্বক। এই মুহূর্তে এই নিবন্ধের সূত্র ধরে সেকথাই বিস্তারিতভাবে জানানো হবে।
বর্তমানে তারকা থেকে সাধারণ সকলেই ফিট থাকতে গ্রিন টি খেয়ে থাকেন। তবে এই গ্রিন টি শুধুমাত্র শরীরকেই নয় ত্বককেও তরতাজা রাখে। গ্ল্যামার কিংবা বিউটি দুনিয়ায় এখন এর বিচরণ অবাধ। বর্তমানের একাধিক প্রসাধনী দ্রব্যতেও গ্রিন টির ব্যবহার করা হয়ে থাকে। অবশ্য সেকথা আর আলাদাভাবে উল্লেখ করা নিষ্প্রয়োজন।
গ্রিন টি ব্যবহারের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়-
১) গ্রিন টি টোনার- যেকোনো প্রসাধনী দ্রব্যের দোকানে গ্রিন টি টোনার সহজলভ্য। এটি দোকান থেকে কিনে তুলো দিয়ে ত্বকে প্রয়োগ করতে পারেন। অন্যদিকে কিনে ব্যবহার করতে না চাইলে, বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন এই টোনার।
প্রথমে এক কাপ জলে দুটি গ্রিন টির টি ব্যাগ ডুবিয়ে রেখে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এরপর গ্যাস বন্ধ করে সেটি ঠান্ডা হওয়ার জন্য রেখে দিন বেশ কিছুক্ষণ। পরে সেটি তুলো দিয়ে গোটা মুখে লাগিয়ে নিন। উপকার মিলবে অল্পসময়ের মধ্যেই। উল্লেখ্য, গ্রিন টি টোনার ত্বকের স্বাভাবিক আদ্রতা বজায় রাখতে ও পিএইচের ভারসাম্য ঠিক রাখতে সহায়তা করে থাকে।
২) গ্রিন টি ব্যাগ- ঠিকমতো কিংবা পর্যাপ্ত ঘুম না হলে চোখে-মুখে ফোলা ভাব দেখা যেতে পারে। সেই ফোলা ভাব কমাতে গ্রিন টি ব্যাগ খুবই কার্যকরী। একটি পাত্রে গ্রিন টি ব্যাগ ডুবিয়ে রেখে সেটি ফ্রিজে রেখে দিন। পরে সেই টি ব্যাগ খোলা জায়গায় বেশ কিছুক্ষণ রাখুন। ফোলা ভাব কমে যাওয়ার পাশাপাশি মুখে ফিরবে স্বাভাবিক জেল্লাও।
৩) গ্রিন টি ও অ্যালোভেরা জেল- গ্রিন টির পাশাপাশি অ্যালোভেরা জেলও ত্বকের জন্য ভীষণভাবে উপকারী, সেকথা অজানা নয় কারোরই। একটি পাত্রে দু চামচ অ্যালোভেরা জেল ও এক টেবিল চামচ গ্রিন টি নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরমধ্যে ভিটামিন ই ক্যাপসুলের নির্যাসও মিশিয়ে নিতে পারেন। এরপর সেই প্রলেপ ভালো করে সারা মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ভালো করে মুখ ধুয়ে নিন। মুখ ধুয়ে টোনার কিংবা কোন ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নেওয়া প্রয়োজন।
গ্রিন টি ব্যবহারের উপকারিতা-
১) গ্রিন টিতে ভিটামিন ই বর্তমান। আর সেই কারণেই এটি ত্বকের স্বাভাবিক জেল্লা ফেরাতে ও ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখতে ভীষণভাবে কার্যকরী।
২) অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ গ্রিন টি। আর এই কারণেই এটি যদি ত্বকে লাগানো হয় তাহলে, এটি ত্বকের পক্ষে খুবই উপকারী। পাশাপাশি এটি ত্বকে একটি সুরক্ষা স্তর তৈরি করে থাকে, যা সূর্যের অতিরিক্ত ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে ত্বককে বাঁচিয়ে রাখে।
৩) ‘জার্নাল অফ ড্রাগস ডার্মাটোলজি’তে প্রকাশিত এক গবেষণা পত্রে গ্রিন টির উপকারিতা সম্পর্কে বর্ণনা দিতে গিয়ে জানানো হয়েছে, গ্রিন টি ত্বকের প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে থাকে। আর সেই কারণেই দু’শতাংশ গ্রিন টির নির্যাস টপিকাল জেলে ব্যবহার করা হয়েছে। যার ফলস্বরূপ এই জেল ত্বকের প্রদাহ কমানোর পাশাপাশি অ্যাকনের সমস্যাকেও নির্মূল করতে সহায়তা করে এটি।
৪) ‘মেডিকেল কলেজ অফ জর্জিয়া’র একটি গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, গ্রিন টি ত্বকের কোষকে সতেজ ও সজীব রাখতে সহায়তা করে থাকে। ত্বককে সহজে বুড়িয়ে যেতে দেয় না এটি।