মন্ত্রিসভার বৈঠকেও ‘সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং’, মোদীর ৫ ফুট দূরে অমিত শাহ
ক্যাবিনেটের এরকম চিত্র আগে কখনও দেখা যায়নি। করোনার থাবা থেকে বাঁচতে ‘সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং’ একমাত্র উপায়। তাই মন্ত্রিসভার ক্যাবিনেটে ও সেই চিত্র দেখা গেছে। মাঝের চেয়ারটায় বসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারপর অন্তত ৫ ফুট দূর থেকে বসতে শুরু করেছেন অন্যান্য মন্ত্রীরা। প্রথমেই ডানদিকে ৫ ফুট দূরত্ব বজায় রেখে বসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্র্রী অমিত শাহ। আর বামদিকে ৫ ফুট দূরত্বে বসেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এরপর একে একে একই দূরত্ব বজায় রেখে বাকি মন্ত্রীরা বসেছেন। ঠিক এভাবেই বুধবার সকালের জরুরি বৈঠক করা হয়েছে।
গতকাল মোদী জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে সারা দেশে লকডাউনের ঘোষণা করেছেন। সেখানে তিনি হাত জোর করে সমগ্র দেশবাসীকে ঘরে থাকতে অনুরোধ করেছেন। আর সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং যে করোনা থেকে বাঁচার একমাত্র পথ সেটাও তিনি উল্লেখ করেছেন। তিনি ঘরের চারদিকে লক্ষণ রেখা কেটে নিতে বলেছেন ২১ দিনের জন্য। ঘরের চৌকাঠ পেরোতে নিষেধ করেছেন। তাহলেই এই মারণ ভাইরাসের হাত থেকে মুক্তি মিলবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন যে সারা ভারতবাসীকে ঘরে থাকতে, তার সাথে প্রধানমন্ত্রীও ঘরে থাকবে। তবে দেশের জন্য মানুষের জন্য তাকে বাইরে বেরোতে হচ্ছে। তবে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকের চিত্র দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে তারাও সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেনে চলছেন। তাই আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত এই সোশ্যাল মেনে চলাই হল বাঁচার একমাত্র রাস্তা বলে মনে করছেন সমগ্র বিশ্ববাসী।