প্রীতম দাস, নিজস্ব প্রতিনিধি : “ওম সর্বমঙ্গলমঙ্গ্যোলে শিবে সর্বার্থ সাধিকে সরণ্যে ত্রম্বকে গৌরী নারায়নি নমহস্তুতে”- কিছুদিন বাদেই হিন্দুদের অন্যতম বৃহৎ উৎসব কালীপূজা। রক্তবীজ নিহন্ত্রকারিনি , অসুর সংহরিনি , বিশ্বজননী মা কালীর উপাসনার জন্য তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে সবাই। বারাসাত , নৈহাটি ইত্যাদি বিভিন্ন জাইগায় নামজাদা প্রসিদ্ধ কালীপূজা হয়। তবে আজ আমরা সোদপুর তথা পনিহাটি অঞ্চলের অতি প্রাচীন ও বৃহদাকার কালীমূর্তি পূজার ব্যাপারে জানবো।
সোদপুর স্টেশনের অনতিদূরে প্রাচীন সোদপুর মুক্তি সংঘ ক্লাব। এই ক্লাব প্রাঙ্গণে বৃহৎ তেরোহাত কালি দীর্ঘদিন ধরে নিষ্টাভরে নিয়মানুসারে পূজিতা হয় আসছেন। মুক্তি সংঘ ক্লাবে ১৯৫০ সালে মাতৃ আরাধনা শুরু হয়। প্রতি বছর মায়ের মূর্তি দর্শনে এখানে হাজার হাজার লোক আগমন করে। এবছর তাদের এই পুজো ৬৯ বছরে পদার্পণ করলো। পুজোর সময় জাকজমোক আলো ও তার সাথে বিভিন্ন দোকান রাস্তার চারপাশে বসে , যা আপনাকে পুজোর সাথেসাথে মেলা ঘুরতে আসার অনুভূতি দেবে। মায়ের বিসর্জনের দিন বহু মানুষের ভিড় হয় থাকে। ভাসানের সময় সিঁদুর খেলা, ব্যান্ড পার্টি ও অঞ্চলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। মায়ের মূর্তির রশি টানার জন্য শত শত মানুষ হাত লাগায়। সব মিলিয়ে এক রোমাঞ্চকর অনুভূতি এর সাক্ষী প্রতিবছর থাকেন সোদপুর ও তার পার্শবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দারা।