জীবনযাপনস্বাস্থ্য ও ফিটনেস

মহিলাদের প্রজনন সংক্রান্ত ক্যান্সারের কিছু লক্ষণ ও তার প্রতিকার !

Advertisement

ভারত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক, সোমনাথ বিশ্বাস : ক্যান্সারে ভারতীয় মহিলাদের মৃত্যুর হার আজও অনেক বেশি। এর মধ্যে সার্ভিক্যাল ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার, জরায়ুর ক্যান্সার, ডিম্বাশয় ক্যান্সার ইত্যাদিতে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, প্ৰতি বছর প্রায় ৯০০০০ মহিলা আক্রান্ত হয় শুধুমাত্র প্রজনন সংক্রান্ত ক্যান্সারে। চিকিৎসকের মতে এই ধরণের ক্যান্সার শেষ পর্যায়ে যাওয়ার আগে ১৫-২০ বছর সময় দেয়। অর্থাৎ এই সময়ের মধ্যে যদি রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হয় তাহলে রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয়। দেখে নিন এই বিষয়ে বিস্তারিত-

বিভিন্ন ধরনের প্রজনন সংক্রান্ত ক্যান্সার, যেগুলো সম্মন্ধে মহিলাদের সচেতন থাকা দরকার-

যে প্রজনন ক্যান্সার গুলো নিয়ে মহিলাদের সচেতন থাকা দরকার সেগুলো হলো স্তন ক্যান্সার, সার্ভিক্যাল ক্যান্সার, যোনিদ্বার/ভালভার ক্যান্সার, যোনি/ভ্যাজাইনার ক্যান্সার, জরায়ুসংক্রান্ত এন্ডমেট্রিয়াল, ফ্যালোপিয়ান টিউবস ও ডিম্বাশয়/ওভারিয়ান ক্যান্সার। এগুলোর মধ্যে স্তন ক্যান্সার সব চেয়ে বেশি হয়ে থাকে। ভারতীয় মহিলাদের ক্ষেত্রে সার্ভিক্যাল ক্যান্সার সবচেয়ে বেশি হতে দেখা যায়।

কি ধরনের পূর্বাভাস যেগুলো থেকে বোঝা যায় প্রজনন সংক্রান্ত ক্যান্সার হয়েছে-

১. যোনিপথ থেকে অস্বাভাবিক রক্তপাত ও স্রাব।
২. পেলভিক পেন বা প্রেসার। পেটে বা পিঠে ব্যথা।
৩. যোনিদ্বারে চুলকানো বা জ্বালাযন্ত্রণা।
৪. যোনিদ্বারের রং বদল, যোনিদ্বারে ফুসকুড়ি, ঘা, জড়ুল, আলসার ইত্যাদি যদি হয়।

প্রজনন সংক্রান্ত ক্যান্সার কি প্রতিরোধযোগ্য? কি কি প্রতিরোধী ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব?

নিয়মিত স্ক্রীনিং ও সেলফ এক্সামিনেশন এর ফলে কিছু বিশেষ ধরণের গাইনকলজিক ক্যান্সার প্রাথমিক স্তরে নির্ণয় করা সম্ভব আর প্রাথমিক স্তরে চিহ্নিত করলে এর থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি পাওয়া সম্ভব। পারিবারিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ইতিহাস সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল থাকা জরুরি। পরিবারে যদি আগে কারও এমন থেকে থাকে তাহলে আগে থেকেই সাবধান হওয়া যায়। এছাড়াও ঠিকঠাক খাদ্য ও ব্যায়াম ক্যান্সার রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে।

এরকম সমস্ত আপডেট পেতে উপরের ডান দিকের ফলো অপশনে ক্লিক করুন।

Related Articles

Back to top button