পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেসের অবস্থা এমনিতেই সংকটজনক। তারমধ্যে আমৃত্যু প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে থাকা সৌমেন মিত্রের ছেলে রোহন মিত্রের টুইট পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেসে নতুন করে অস্বস্তি বাড়াচ্ছে। সম্প্রতি কিছুদিনের টুইটে রোহনের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা উস্কে দিয়েছে। তার প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের ওপর যে আর একদমই আস্থা নেই তা স্পষ্ট। সৌমেন পুত্রের এরকম সময়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা বাংলায় কংগ্রেসের সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর জন্য যে যথেষ্ট উদ্বেগজনক হবে, তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।
সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাদুড়িয়ার কংগ্রেস বিধায়ক কাজী আবদুর রহিম বা দিলু কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী দাবি করেছেন যে দিলু অনেকদিন ধরেই তৃণমূলে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। এমনকি লোকসভা ভোটে তৃণমূলকে এগিয়ে দেবার অভিযোগও ওঠে তার বিরুদ্ধে। কিন্তু এই বিষয়ে সম্পূর্ণ অন্য সুর রোহন মিত্রের গলায়। সে টুইট করে জানিয়েছে, লাগাতার অসম্মান করে উত্তর ২৪ পরগনার একমাত্র কংগ্রেস বিধায়ককে দল ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে দিলুর সাথে তৃণমূল যোগের তত্ত্ব হাওয়ায় উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। বরং তিনি বলেছেন, কোন তারকা প্রচারক ছাড়া দিলু যে ১ লক্ষ ভোট পেয়েছিল তাই যথেষ্ট।
অন্যদিকে বেচারাম মান্নার পদত্যাগ করার তীব্র সমালোচনা করেছেন রোহন টুইটারে। তিনি বলেছেন, যাদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আস্তাকুঁড় থেকে তুলে আনলো তারাই এখন বেইমানি করছে। বিধায়কের পদত্যাগ অন্য রাজনৈতিক দলের সাথে বেইমানি বলেই অভিহিত করেছেন তিনি। এছাড়াও তিনি প্রশ্ন করেছেন, প্রদেশ কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক এবং দক্ষিণ কলকাতার ভোটার হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে দক্ষিণ কলকাতার জেলা কংগ্রেসের কর্মী সম্মেলনে ডাকা হল না কার নির্দেশে?
এছাড়াও রোহন বলেছেন, বাবার সাথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক রাজনৈতিক দিক থেকে খুব একটা খারাপ ছিল না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে জায়গা থেকে উঠে এসেছে তাকে সন্মান করতো সৌমেন এবং এখনও রোহন তাকে যথেষ্ট সন্মান করে। যুবনেত্রী তথা বিরোধী নেত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সব মাইলফলক স্পর্শ করে গিয়েছেন, তাতে আমি তাঁর প্রতি অবশ্যই শ্রদ্ধাশীল। এই বক্তব্যই রোহানের তৃণমূলের যোগ দেওয়ার সমূহ ইঙ্গিত দিচ্ছে।