শুভেন্দুর উপস্থিতিতে মেগা যোগদান! টিকিট না পেয়ে বিজেপিতে মাস্টারমশাই-সোনালী
শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন যে এই যোগদানের ফলে বিজেপির দখলে এল ১২ জেলা পরিষদ
একুশে বিধানসভা নির্বাচনের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের। তারমধ্যে গত শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেস তাদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতেই আবারো দলের প্রতি বিদ্রোহী নেতার সংখ্যা বেড়ে গেছে। আগে থাকতে সব ঠিকঠাক হয়ে যাওয়ার পর আজ অর্থাৎ সোমবার বিকেলে বিজেপিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করলেন একঝাঁক তৃণমূল ত্যাগী নেতা-মন্ত্রীরা। বেশিরভাগ এবারের নির্বাচনে টিকিট না পাওয়ার ক্ষোভে দল ছেড়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আজ গেরুয়া শিবিরে নাম লেখার মধ্যে আছেন সিঙ্গুরের বিদায়ী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। সে দলে সুযোগ না পেয়ে তখন সাংবাদিকদের সামনে যা ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল তাতে ধরেই নেয়া হয়েছিল সে এবার দল ছাড়বে।
রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য্য ছাড়াও শিবপুরের জটু লাহিড়ী, সাতগাছিয়ার সোনালী গুহ, বসিরহাটের দিব্যেন্দু বিশ্বাস, মালদার সরলা মুর্মু আজ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করার তালিকায় আছে। তারা প্রত্যেকেই আশা করেও দলের হয়ে টিকিট পায়নি। এছাড়াও তাদের সাথে নতুনভাবে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তী। এখন রাজনৈতিক দলগুলিকে টলিউড অভিনেতা অভিনেত্রীদের যোগদান প্রায় সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও জেলাস্তরের একাধিক তৃণমূল নেতা আজ গেরুয়া সৈনিক হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা আজকে শুভেন্দু অধিকারী, মুকুল রায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতে যোগদান অনুষ্ঠানে বিজেপিতে যোগদান করেছেন।
বিজেপিতে যোগদান করে সিঙ্গুরের প্রবীণ তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য্য বলেছেন, “বিজেপিতে টিকিট চায় না। দলে জায়গা পেলেই হবে।” তবে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে বিজেপি তৃণমূল নেতাদের তাদের পুরনো দলের বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে ভোট যুদ্ধে অবতীর্ণ করতে পারে। অন্যদিকে আজ যোগদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “এই যোগদানের ফলে ১২ জেলা পরিষদ গেরুয়া শিবিরের অধীনে এখন। এই বিষয়টি শাসক দলকে এবার রাতে ঘুমাতে দেবেনা।” আসলে এবার তৃণমূল প্রার্থী তালিকায় জায়গা করে নিতে পারেনি ৫ মন্ত্রী সহ ৬৪ জন বিধায়ক। তাদের মধ্যে অনেকেই যে এবার আস্তে আস্তে বিজেপিতে ঢুকবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।