ওয়াশিংটন: ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে গতকাল, শনিবার আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউসের কুর্সিতে বসেছেন জো বাইডেন। কিন্তু কে এই জো বাইডেন? কীভাবে তাঁর রাজনৈতিক উত্থান হল? এই সকল প্রশ্নের উত্তর বেশিরভাগ মানুষেরই অজানা।
জো বাইডেনের রাজনৈতিক কেরিয়ারের দিকে তাকালে অবলীলায় বলা যায় যে, একেই রাজনৈতিক উত্থান বলে। প্রথমে সেনেটর হিসেবে রাজনৈতিক জগতে সফলতা, তারপর বারাক ওবামার সময়কালে ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি। আর এবার ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের আসনে বসলেন জো বাইডেন। বয়স ৭৮। আমেরিকার রাজনৈতিক ইতিহাসের দিকে তাকালে জানা যাবে জো বাইডেনই হল আমেরিকার সব থেকে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট। এর আগে আমেরিকার সব থেকে প্রবীণ প্রেসিডেন্ট ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শপথকালীন সময়ে তাঁর বয়স ছিল ৭০। কিন্তু তাঁকে বয়সের নীরিখেও পেছনে ফেলে দিলেন বাইডেন।
জো বাইডেনের জন্ম ১৯৪২ সালের ২০ নভেম্বর পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের স্ক্রানটনে। চার ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড় বাইডেন বেড়ে ওঠেন স্ক্রানটন, নিউ ক্যাসল কাউন্টি ও ডেলাওয়ারের মধ্যেই। বাবা জোসেফ রবিনেট বাইডেন সিনিয়র আর আইরিশ বংশোদ্ভূত মা ক্যাথরিন ইউজেনিয়া ফিনেগান। ডেলাওয়ার ইউনিভার্সিটিতে ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পড়াশোনা করেন বাইডেন। পরে তিনি আইনে ডিগ্রি নেন। ১৯৬৬ সালে সিরাকিউজ ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় বাইডেন নিলিয়া হান্টারকে বিয়ে করেন। তাঁদের তিন সন্তান আছে। ১৯৭২ সালে বড় দিনের আগে ক্রিসমাস ট্রি কিনতে গিয়ে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিলিয়া মারা যায়। তাঁর মেয়ে নাওমিও দুর্ঘটনায় মারা যান। এরপর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন বাইডেন। তবে ফের ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি।১৯৭২ সালে মাত্র ২৯ বছর বয়সে দেলাওয়ারের মার্কিন সেনেটর হিসেবে নির্বাচিত হয়ে নিজের রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন বাইডেন৷ ৩৬ বছরের তাঁর সেনেটর জীবন৷ পরে ২০০৯ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত ওবামা আমলে ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি৷ ওবামার অত্যন্ত বিশ্বস্ত সৈনিক ছিলেন তিনি। আর এবার সেই বাইডেন প্রেসিডেন্টের মসনদে বসেছেন। আশা করা যায়, আগামী দিনে তিনি বিশ্বের দরবারে আমেরিকাকে সফলতার শীর্ষে একইভাবে তুলে ধরবেন।