অ্যাকাউন্টে সাড়ে ৭ হাজার টাকা, রেশনে ১০ কেজি চাল বিনামূল্যে দিন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্জি সোনিয়ার
দেশ জুড়ে লকডাউনের ফলে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক ও দরিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী মানুষেরা। তাদের কাছে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের জোগান সুনিশ্চিত করা সরকারের কর্তব্য বলে মনে করছেন দেশের একাংশ। ফলে, অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য কেন্দ্র সরকারকে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন সোনিয়া গান্ধী। পরে কেন্দ্রের তরফে রাজ্যগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়, যাতে রাজ্যগুলো শ্রমিক কল্যাণ সেস বাবদ আদায় করা ৫৬ হাজার কোটি টাকার তহবিল থেকে ১০০০ টাকা করে শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেয়।
অন্যদিকে, বুধবার থেকে শোনা যাচ্ছে যে, লকডাউনের সময় যাতে মানুষকে সমস্যায় পড়তে না হয় সে জন্য সপ্তাহের শেষ বড়সড় আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণের কথাতেও তেমনই ঈঙ্গিত মিলেছিল। আজ, বৃহস্পতিবার সকালে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী দরিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী গরীব মানুষের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানালেন।
চিঠিতে তিনি জানান, দরিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী গরীব মানুষের জনধন অ্যাকাউন্টে সাড়ে ৭ হাজার টাকা ও গণবন্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে ১০ কেজি চাল বা গম যেন প্রত্যেকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করে সরকার। জনধন অ্যাকাউন্ট না থাকলে কিষাণ অ্যাকাউন্ট, বার্ধক্যভাতার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে হলেও যেন টাকা পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়, এমনই দাবি করেছেন কংগ্রেসের অন্তবর্তীকালীন সভানেত্রী।