“স্বার্থ সংঘাত” ইংরেজিতে “কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট” বলতে বোঝায় কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা একই রকম দুটি বা তার বেশি পদে থাকাকালীন এক পদে নেওয়া সিদ্ধান্ত বা কাজকর্ম অপর পদকে সুবিধা পাইয়ে দেয়। অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি বা সংস্থার ব্যক্তিগত আগ্রহ তৃতীয় পক্ষের সুবিধার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়বদ্ধতার উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। এর ফলে সবসময়ই একটা দুর্নীতির আশঙ্কা থেকেই যায়। সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটির দ্বারা ভারতীয় ক্রিকেট পরিচালনার সময় স্বার্থ সংঘাত বিষয়টি ভারতীয় ক্রিকেট অন্তর্ভুক্ত হয়।
মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সঞ্জীব গুপ্তা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এর বিরুদ্ধে স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ আনেন। তার দাবি সম্প্রতি বোর্ডের সভায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বোর্ড সভাপতির পাশাপাশি সিএবি এর একজন প্রতিনিধি হিসেবেও প্রতিনিধিত্ব করেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে বিসিসিআইয়ের এথিক্স কমিটি।
২৩ শে অক্টোবর বোর্ড সভাপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার পরেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সিএবি সচিব অভিষেক ডালমিয়ার কাছে একটি পত্র পদত্যাগপত্র পাঠান সিএবি প্রেসিডেন্ট থেকে পদত্যাগ করার জন্য। বোর্ডের এফিক্স অফিসার ডি কে জৈন জানান “সিএবি প্রেসিডেন্ট থেকে পদত্যাগ করেছেন সৌরভ, তাই এহেন অভিযোগের কোনো গুরুত্ব নেই।
ফলে সৌরভ এর বিরুদ্ধে ওটা সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে তাকে ক্লিনচিট দেওয়া হলো এবং এই রায়ের প্রতিলিপি অভিযোগকারী, বোর্ড এবং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে পাঠিয়ে দিয়েছি”।