বিসিসিআই সভাপতি হবার দৌড় থেকে ইতিমধ্যেই ছিটকে গিয়েছেন সৌরভ। আর এবারে এই সভাপতিত্বের প্রসঙ্গ নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন মহারাজ। তিনি সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, বিসিসিআইয়ের মসনদ হারালেও জীবনে আরও বড় কিছু করার লক্ষ্য নিয়ে ফেলেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার একটি বেসরকারি ব্যাংকের অনুষ্ঠানে এই ইঙ্গিত দিয়ে দিয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, “আমি ভারতের হয়ে খেলার পরে বাংলার ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি হয়েছি। তারপরে সেখান থেকে বিসিসিআইয়ের সভাপতি হয়েছি। ভবিষ্যতে আরও বড় কিছু করবো আমি। কিন্তু খেলোয়াড় জীবনের ১৫ বছর আমার জীবনের সবথেকে ভালো সময়।”
তাহলে কি এবার আইসিসি-তে যাবার কথা ভাবছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়? কিন্তু সেখানেও তার যাওয়ার সম্ভাবনা কিন্তু খুবই কম। তাহলে ভবিষ্যতে কি করতে চাইছেন মহারাজ? কিসের ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন তিনি? সে বিষয়ে পরিষ্কার করে কিছু না বললেও, ভবিষ্যতে যাই করুন না কেন, আবার শূন্য থেকে সবকিছু শুরু করবেন সৌরভ গাঙ্গুলী। তিনি বলেছেন, “সবাই শেষটাই দেখে। কিন্তু বোঝার চেষ্টা করে না যে আমাদের সবাইকে শূন্য থেকে শুরু করতে হয়। প্রশাসক হিসেবে হয়তো আমার এখানেই ইতি। এখন হয়তো আমাকে কোন নতুন ভূমিকায় দেখা যাবে। সেখানেও আমাকে শূন্য থেকেই শুরু করতে হবে।”
গত তিন বছরে বিসিসিআই সভাপতি হিসেবে তিনি কি করেছেন, তার একটি খতিয়ান তুলে ধরেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, “করোনা ভাইরাসের মতো দুঃসহ সময়ে সফলভাবে আমরা আইপিএল আয়োজন করতে পেরেছি। কমনওয়েলথ গেমসে ভারতের মহিলা ক্রিকেট দল রূপো পেয়েছে। ভারতের পুরুষ দল বিদেশের মাটিতে অভাবনীয় সাফল্য লাভ করেছে। ভারতীয় ক্রিকেট একটা অন্যরকম শক্তি লাভ করতে পেরেছে। তবে ক্রিকেটার হিসেবে আমার সময়টা আলাদা ছিল। সারা জীবন ধরে কেউ কিন্তু প্রশাসক হয়ে থাকতে পারে না। তাই পরিবর্তন প্রয়োজন।”
জীবনের ক্ষেত্রেও সৌরভ একটি করে পদক্ষেপ করতে পছন্দ করেন বলে জানিয়েছেন তিনি। দীর্ঘ পথ এগিয়ে যাবার জন্য এটাই তার লক্ষ্য বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলছেন, “ছোট ছোট লক্ষ্য নিয়ে এগিয়েছিলাম। লম্বা যাত্রায় সফল হতে হলে ছোট ছোট পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়। শুরুতেই এক লাফে সাফল্যে পৌঁছে যেতে চাইলে তা সম্ভব হয় না। সেটা হতেও পারে না। কেউ একদিনে শচীন টেন্ডুলকার হয় না। নরেন্দ্র মোদি হয় না।”