করোনায় প্রাণ হারালেন স্পেনের রাজকন্যা মারিয়া টেরেসা
বিশ্বজুড়ে করোনার তীব্রতা বাড়ছে, বাড়ছে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা। স্পেনের রাজপরিবারেও করোনার গ্রাসে প্রাণ হারালেন স্পেনের রাজকন্যা মারিয়া টেরেসা। বিশ্বে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে করোনায়। তবে রাজপরিবারের সদস্যের করোনায় মৃত্যুর ঘটনা এটাই প্রথম। বর্তমানে স্পেনের অবস্থা ভয়ানক। মৃত্যুপুরী তে পরিনত হয়েছে স্পেন।
বিশ্বজুড়েই এই চিত্র দেখা যাচ্ছে, গোটা বিশ্বে করোনার কবলে প্রাণ হারিয়েছে ৫ হাজার ৬৯০ জন। বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে, ৭২ হাজার অতিক্রম করেছে আক্রান্তের সংখ্যা। ১৯৩৩ সালে স্পেনের রাজকন্যা জন্মগ্রহণ করেন প্যারিসে। বারবন-পার্মা রাজপরিবারের সদস্য ছিলেন মারিয়া টেরেসা। তাঁর জীবনকালের বেশিরভাগ সময় কেটেছিল মাদ্রিদে । একাধিক লেখা লিখেছিলেন তিনি স্পেনের রাজনৈতিক আন্দোলনের সময়।
স্পেনের রাজকন্যা মারিয়া টেরেসার বয়স হয়েছিল ছিয়াশি বছর। তবে বেশ অনেকদিন ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন, শুক্রবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে জীবনাবসান হল তাঁর, রাজকন্যার ভাই প্রিন্স সিক্সটাস হেনরি রাজকন্যার মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন। সমস্ত সতর্কতা অবলম্বন করার পরও করোনা থেকে রেহাই পেলেন না স্প্যানিশ রাজকন্যা মারিয়া টেরেসা।
করোনা আতঙ্ক স্পেনের রাজপরিবারের পর এবার ব্রিটিশ রাজপরিবারেও দেখা দিয়েছে। কারন প্রিন্স চার্লস করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, পরিবার সূত্রে জানা গেছে বেশ কিছুদিন ধরেই বাড়ি থেকে কাজ করছিলেন তিনি, শরীর সুস্থ থাকলেও,করোনার কিছু উপসর্গ পাওয়ায় করোনা পরীক্ষা করেন।রিপোর্টে পজিটিভ আসে। চার্লসসেল্ফ আইসোলেশনে রয়েছেন। তাঁর স্ত্রী ডাচেস অফ কর্নওয়াল ক্যামিলার শরীরে করোনার উপস্থিতি না থাকলেও বর্তমানে স্কটল্যান্ডে সেল্ফ আইসোলেশনে রয়েছেন তিনিও। সুস্থ আছেন রানি এলিজাবেথ।
করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে রানি এলিজাবেথকে একাধিকবার স্থানান্তরিত করা হয় একাধিক স্থানে। প্রথমে তাকে বাকিংহাম প্যালেস নিয়ে যাওয়া হয় উইন্ডসর ক্যাসেলে। সেখানে এক কর্মীর করোনা জীবাণু পাওয়ায় রানিকে সেখান থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানা গেছে।